April 24, 2024
আঞ্চলিককরোনালেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

করোনায় খুলনা ক্রীড়াঙ্গনের প্রিয় মুখ আব্দুস সাত্তার কচির ইন্তেকাল

ক্রীড়া প্রতিবেদক
খুলনার ক্রীড়াঙ্গনের প্রিয় মুখ, সকলের কাছে প্রিয় ওস্তাদ হিসেবে পরিচিত কাজী আব্দুস সাত্তার কচি বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি … রাজিউন) । মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে, এক মেয়ে রেখে গেছেন। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় তাকে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বাদ এশা বসুপাড়া কবরস্থান সংলগ্ন মসজিদে তার নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তাকে বসুপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়।
১৯৭৭ সালের শুরুতে ইংল্যান্ডের মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব বাংলাদেশ সফরে আসে। কোনও বিদেশি দলের ওটাই ছিল প্রথম বাংলাদেশ সফর। ঢাকাতে একটি ম্যাচ খেলার পর অন্য বিভাগীয় শহরেও ম্যাচ খেলে তারা। খুলনা বিভাগের ম্যাচটি হয়েছিল যশোরে। বাংলাদেশ দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে শামীম কবির, শফিকুল হক হীরা, দিপু রায় চৌধুরী, সামিউর রহমান, রকিবুল হাসানরা খেলেছিলেন। খুলনার ক্রিকেটার হিসেবে খেলেছিলেন পেসার কাজী আব্দুস সাত্তার কচি। শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ম্যাচটি ড্র করেছিল বাংলাদেশ। আব্দুস সাত্তার কচি একাধারে সাবেক জাতীয় দলের ক্রিকেটার, জাতীয় লিগে খুলনার প্রথম শিরোপার কোচ, খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের সাবেক ভেন্যু ম্যানেজার ছিলেন।
মাত্র ১৪ বছর বয়সে খুলনার সিনিয়র ডিভিশন ক্রিকেট খেলেন তিনি। খুলনার জেলা ও বিভাগীয় দলেরও নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন। ১৯৮২ সালে তিনি উপমহাদেশের অন্যতম ক্রীড়া শিক্ষার প্ল্যাটফর্ম ভারতের পাতিয়ালা থেকে ক্রিকেট কোচিংয়ের উপর ইন্দিরা গান্ধী স্কলারশিপ নেন।
২০০৩ সালে জাতীয় লিগে খুলনা বিভাগের কোচ ছিলেন আব্দুস সাত্তার কচি। ওই বছর জাতীয় লিগে প্রথম শিরেপা জয় করে খুলনা। ২০০৪ সালে দায়িত্ব নেন খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের। তার হাত ধরেই এই স্টেডিয়াম পায় আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের স্বীকৃতি ও টেস্ট ভেন্যুর মর্যাদা, যেখানে বাংলাদেশ প্রথম কোনও টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলে। টানা ১৫ বছর শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামকে আগলে রেখে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে অবসর নেন কচি। এরপর পরিবারকেই সময় দিয়ে আসছিলেন তিনি।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *