May 7, 2024
আঞ্চলিক

এক বছরে খুলনা থেকে মাছ রপ্তানীতে আয় ২ হাজার ২৯০ কোটি টাকা

আলি আবরার

বিগত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে বছরে খুলনা জেলা হতে ২৯,৬৮১ টন হিমায়িত চিংড়ি ও সাদা পানির মাছ রপ্তানী করে ২ হাজার ২৯০ কোটি টাকা আয় করেছে সরকার বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

জেলা মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রন দপ্তরের কর্মকর্তা এটিএম তৌফিক মাহমুদ জানান, চলতি অর্থবছরের (জুলাই হতে ডিসেম্বর ২০১৯-২০২০) প্রথম ৬ মাসে উৎপাদিত হয় ১৮,৫৬২ টন মাছ যা এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে উৎপাদিত মাছের থেকে আরো ২০০০ টন বেড়েছে । সরকার এই ১৮,৫৬২ টন মাছ রপ্তানী করে উপার্জন করেছে ৫১০ কোটি টাকা।

জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু সাইদ জানান, হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানী সংস্থাগুলি বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি বিদেশে বাংলাদেশের পণ্য মার্কেটিং এও অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের মতে, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের হিমায়িত চিংড়ির প্রচুর চাহিদা। প্রতি বছরই এই খাত থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জিত হয়। রপ্তানী করা হিমায়িত চিংড়ির একশ ভাগই স্থানীয়ভাবে চাষকৃত ।

আব্দুস সবুর নামের একজন চিংড়ি রপ্তানীকারক জানান, স্থানীয় বাজারে তত্ত্বাবধান ছাড়াই ব্ল্যাক টাইগার চিংড়ি ও মিঠা পানির চিংড়ির জোগান চিংড়ি চাষিদের চিংড়ি সংরক্ষণে নিরুৎসাহিত করছে, যার ফলে চিংড়ি উৎপাদন ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।

হিমায়িত মৎস্য ও চিংড়ি রপ্তানী সংস্থাগুলি যথাযথ নিয়ম মেনে সাদা পানির মাছ ও চিংড়ি সংগ্রহ করে রপ্তানী করার আগে তাদের নিজেদের বা সরকারি পরীক্ষাগারে পরিক্ষা করে- যে প্রক্রিয়াটি স্থানীয় বিক্রেতারা অনুসরণ করেন না বলেও তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করে ও পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু উন্নয়ন প্রয়োজন।  রপ্তানী বৃদ্ধি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করার পাশাপাশি আমাদের অর্থনীতির উন্নয়নও সম্ভব।

 

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *