April 23, 2024
আন্তর্জাতিককরোনা

একদিনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখলো অস্ট্রেলিয়া

ভয়াবহ দিন দেখলো অস্ট্রেলিয়া। একদিনেই দেশটিতে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়া ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাবে অস্ট্রেলিয়ায় রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে না।

করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর প্রথমদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেও এখন দেশটির পরিস্থিতি খুব একটা ভালো না। মহামারির যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন দেশটির হাসপাতাল ও ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে করোনা রোগীর সংখ্যা বেশি।

অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনবহুল তিন রাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলস, ভিক্টোরিয়া এবং কুইন্সল্যান্ডে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মোট ৭৪ জনের মৃত্যুর তথ্য নথিবদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দেশটিতে মহামারিতে একদিনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু রেকর্ড হয়েছিল। সেদিন ৫৭ জনের মৃত্যু রেকর্ড হয়।

এক সংবাদ সম্মেলনে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রধান ডোমিনিক প্যারোটে বলেন, আজকের দিনটি আমাদের রাজ্যের জন্য বেশ কঠিন। ওই রাজ্যে ৩৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। করোনা মহামারি শুরুর পর এই সংখ্যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

টিকা দেওয়ার হার বেশি হওয়ার কারণে ওই রাজ্যে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের বিরোধিতা করে আসছেন পেরোটে। তিনি বলেন, রোগী ভর্তির ক্রমবর্ধমান সংখ্যার সঙ্গে এখনও মানিয়ে নিতে পারবে হাসপাতালগুলো। তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ থাকা স্বত্বেও তারা বাকি বিশ্বের চেয়ে আলাদা নয়।

হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় মঙ্গলবার ভিক্টোরিয়ার হাসপাতালগুলোতে ‘কোড ব্রাউন’ ঘোষণা করা হয়। জরুরি পরিস্থিতিতে স্বল্পমেয়াদের জন্য এই কোড ঘোষণা করা হয়। এর অধীনে হাসপাতালগুলো জরুরি নয় এমন স্বাস্থ্য সেবা ও কর্মীদের ছুটি বাতিল করতে পারে। কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশের হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের অধিকাংশই কমবয়সী এবং তারা টিকা নেয়নি।

নিউ সাউথ ওয়েলস, ভিক্টোরিয়া, কুইন্সল্যান্ড এবং তাসমানিয়ায় নতুন করে ৬৭ হাজার মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ। সেদিন একদিনেই আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় দেড় লাখ। অস্ট্রেলিয়ায় মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৬ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ১৩ লাখই গত দুই সপ্তাহে শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২ হাজার ৭৫৭ জন।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *