May 4, 2024
জাতীয়

একদিনেই উঠে গেলো রাস্তার পিচ ঢালাই

ঢাকার ধামরাইয়ে একটি শাখা সড়কে পিচ ঢালাইয়ের একদিন পরই তা উঠে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। হাত দিয়ে টেনে টেনে রাস্তার কার্পেটিং তুলে ফেলা যাচ্ছে এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় তা একদিন পরেই উঠে যাচ্ছে। প্রতিবাদ করায় ঠিকাদার উল্টো তাদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দিয়েছেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

রোববার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ‘আমরা ধামরাইবাসী’ ফেসবুক গ্রুপে সড়কের কার্পেটিং উঠে যাওয়ার ভিডিও ও ছবি পোস্ট করে ‘খাগুটিয়া ছাত্র-ছাত্রী উন্নয়ন সংস্থা’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

পোস্টে বলা হয়, ‘বালিয়া ইউনিয়নের খাগুটিয়া গ্রামের রাস্তার কাজের অবস্থা। পায়ের ধাক্কায় পিচ উঠে যাচ্ছে সব। গতকাল কাজ করেছে, আজকেই এই অবস্থা।’

খাগুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা রাজীব আহমেদ জানান, তাদের গ্রামের মানুষের জন্য এই সড়কটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় দুই বছর ধরেই সড়কটির বেহাল দশা। খাগুটিয়া-মিলগেট সড়কটি ১ হাজার ফুট দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ৯ ফুট প্রশস্ত। প্রায় পাঁচ মাস আগে সড়কটিতে ইটের সলিং করে এলজিইডি প্রকল্পের ঠিকাদাররা। এরপর গতকাল সড়কটিতে পিচঢালাইয়ের কাজ করা হয়। অর্ধেক পরিমাণ সড়কে পিচঢালাই এরই মধ্যে শেষ। কিন্তু নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় সড়কের কার্পেটিং হাত দিয়ে টেনেই উঠানো যাচ্ছে। আজ সকালে আমার চাচা বেনজির আহমেদ ও ভাই খোকন সড়কটিতে হাঁটতে যান। এসময় সন্দেহ হলে তারা পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে দেখেন ঢালাইয়ের পিচ হাত দিয়েই তোলা যাচ্ছে। এমনকি উঠে যাওয়া পিচ গুলো মানসম্মত নয় এবং গুঁড়ো গুঁড়ো।

তিনি বলেন, ‘মূলত বিটুমিনগুলো নিম্নমানের হওয়ায় নতুন পিচঢালাইয়ের অনেক জায়গায় এমন অবস্থা। আমরা প্রতিবাদ করায় ঠিকাদার আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। পুলিশ দিয়ে হয়রানি করবেন বলে জানান। শুধু তাই নয়, কাজ বন্ধ করে চলে যাওয়ারও হুমকি দেওয়া হয় তাদের।’

ইশরাত বিল্ডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী ঠিকাদার শান্টু রহমান বলেন, ‘পিচ দেওয়ার তিন দিন না হলে শক্ত হয় না। পিচ নরমই থাকে। কিন্তু এরা (এলাকার লোকজন) আমরা কাজ করতেছি তারা টেনে টেনে কার্পেটিং তুলছে। এতে আমাদের ৪-৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমরা ইঞ্জিনিয়ারসহ ঘটনাস্থলে এসে পর্যবেক্ষণ করে তাদের নিষেধ করেছি।’

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *