May 5, 2024
আন্তর্জাতিককরোনা

ইতিবাচক উপায়ে ওমিক্রন প্রতিরোধের পক্ষে থাই ব্যবসায়ীরা

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী ফের সংক্রমণ বাড়ছে। এর চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বড়দিনের উৎসবে। ওমিক্রনের জেরে থাইল্যান্ডেও সীমিত আকারে পালিত হয়েছে এই উৎসব। তবে দেশটির পুরো ব্যবসাখাতের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি ওমিক্রন।

থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা কঠোর লকডাউনের পরিবর্তে পর্যাপ্ত কঠোর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে অর্থনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চান। এদিকে ওমিক্রনের সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় দেশটির সরকারও নিজেদেরকে আর্থিকভাবে প্রস্তুত করছে।

থাইল্যান্ডের ট্যুরিজম কাউন্সিলের সভাপতি চমনান শ্রীসাওয়াত বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কম। যা পর্যটনখাতের জন্য আশার খবর বলেও জানান তিনি। চমনান শ্রীসাওয়াত বলেন, যদি এই ভাইরাসটি মৌসুমি ফ্লুতে পরিণত হয় তাহলে আগামী বছর থেকে পর্যটনখাত সমৃদ্ধ হবে এবং সেবাখাত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। ওমিক্রনের ফলে নতুন ভ্রমণনীতি পর্যটকদের ওপর প্রভাব ফেলেছে। অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা প্রয়োজন। কারণ পর্যটনখাতে ফের লকডাউন দেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। আবারও লকডাউন জারি হলে পর্যটনখাত ধ্বংস হতে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি।

ফেডারেশন অব থাই ইন্ডাস্ট্রিজ (এফটিআই) ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব রোধে সরকারের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সঙ্গে একমত। তবে লকডাউনের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন তারা।

এফটিআইয়ের চেয়ারম্যান সুপন্ত মংকোলসুথ্রি বলেন, আমরা সবাই আতঙ্কের মধ্যে পড়তে চাই না। পাশাপাশি লকডাউন ব্যবস্থা পুনর্বহালও চাই না।

তিনি বলেন, ওমিক্রন স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিতে কতটা মারাত্মক প্রভাব ফেলবে তা এখনো পরিস্কার নয়। তবে এই পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের কথা বলেছেন তিনি। যখন অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কর্যক্রম চলছে, তখন পুনরায় লকডাউন অর্থনীতির জন্য বিপর্যয় হয়ে উঠবে। লকডাউন ভালো কোনো পদক্ষেপ হতে পারে না। করোনার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।

থাই চেম্বার অব কমার্সের চেয়ারম্যান সানান আঙ্গুবোলকুল বলেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট একটি নতুন চ্যালেঞ্জ যা সব পক্ষকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। জনস্বাস্থ্য তথ্যের প্রাপ্যতা এবং টেস্ট অ্যান্ড গো স্কিম স্থগিত করায় ওমিক্রনের বিস্তার রোধ করতে সহায়তা করবে বলেও জানান তিনি।

অর্থমন্ত্রী আরখম টারমপিত্তায়াপাইসিথ বলেন, ওমিক্রনের ফলে অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও ২০২২ সালে থাইল্যান্ডের অর্থনীতির সম্প্রসারণ ঘটবে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *