‘আমরা বলি না এমন উইকেট দাও, যেমনই হয় আমরা খেলি’
অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে ইতিহাসগড়া সিরিজ জয়। সেটাও আবার যেনতেনভাবে নয়, পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে নাকাল করা। বাংলাদেশের এই সাফল্য নাড়িয়ে দিয়েছে পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে।
সামনে বিশ্বকাপ। দল সাফল্য পেলে তো খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসও তুঙ্গে থাকে। তবে সাফল্য ও প্রশংসার মধ্যে একটি নেতিবাচক আলোচনাও হচ্ছে। সেটা হলো উইকেট।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যে উইকেটে খেলা হয়েছে, সেখানে ১২০ রান করেই অনায়াসে জেতার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়ে ছিল। লো স্কোরিং ম্যাচ আর ধীরগতির উইকেটের পুরো ফায়দা নিয়েছে বাংলাদেশ।
কিন্তু বিশ্বকাপে কি এমন উইকেট থাকবে? আইসিসির ইভেন্ট যেহেতু, উইকেট তো হবে ব্যাটিং সহায়ক। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের প্রস্তুতিটা কী হচ্ছে এমন উইকেটে খেলে, এই প্রশ্নও উঠছে।
তবে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজম্যান্ট বরাবরই এই সমালোচনাকে উড়িয়ে দিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শুরু হচ্ছে, এবারও কি তবে সেই ধীরগতির লো স্কোরিং উইকেট বানাবে বাংলাদেশ?
জাতীয় দলের ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান অবশ্য দাবি করলেন, বাংলাদেশ নিজের পছন্দমতো উইকেট বানাচ্ছে, এমন কথাই ঠিক নয়।
আকরামের ভাষায়, ‘আমরা বলি না আমাদের এমন উইকেট দাও। উইকেট যেমনই হয় আমরা সেখানেই খেলি। এখানে (মিরপুর) হোম অ্যাডভান্টেজ পাওয়া যায়। যে দেশেই খেলা হোক, হোম অ্যাডভান্টেজ সেই দেশের খেলোয়াড়রা নেয়। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা এই উইকেটে বেশি খেলেছে, অ্যাডভান্টেজ তো থাকবেই।’
এই উইকেটে খেলে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ঠিকভাবে হচ্ছে না, সেটাও মানতে নারাজ আকরাম। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে আমরা খুব ভালো একটা প্রস্তুতিতে আছি। বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মত দলের বিপক্ষে খেলা; জিম্বাবুয়েও সফর করলাম। বিশ্বকাপ ভেন্যুতে আগে যাব প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। আল্লাহর রহমতে প্রস্তুতি ভালোই হচ্ছে।’
এবারের বিশ্বকাপে প্রথমপর্বে ওমানের মাটিতে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। সেজন্য আগেভাগেই সেখানে ক্যাম্প করার পরিকল্পনা বিসিবির। সেখানে কি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে টাইগাররা?
আকরাম খান জানান, ‘ওমানে ৬-৭ দিন আগে যাব, এটুকু নিশ্চিত। এজন্যই তো আগে যাচ্ছি। এখনও পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়নি। কোচ যেভাবে চায় সেভাবে আমরা করব।’