আবু সুফিয়ান ছিলেন শ্রমজীবী মানুষের প্রেরণার বাতিঘর
নগর আ’লীগের স্মরণ সভায় সিটি মেয়র
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা আবু সুফিয়ান সৎ, সদালাপী ও অত্যন্ত ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ ছিলেন। তাঁর নামের সঙ্গে মিশে আছে দেশপ্রেমের দীপ্তমান আভা। তিনি ছিলেন বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক। জীবনের স্বল্পতম সময়ে শিক্ষার বিস্তারে তিনি খুলনা খালিশপুরে মহসিন কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানে ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে শিক্ষকতা করেন। একজন অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ানের এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার অসীম স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাই তিনি শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে সব সময় সচেষ্ট ছিলেন। আবু সুফিয়ান ছিলেন শ্রমজীবী মানুষের প্রেরণার বাতিঘর। মাত্র ২৯ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবনে শ্রমিক সমাজের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন।
তিনি আরো বলেন, অধ্যাপক আবু সুফিয়ান মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু’র আদর্শকে বাস্তবায়নে কাজ করে গেছেন। তাঁর ত্যাগ, যোগ্যতা ও রাজনৈতিক কর্মকাÐে ঈর্ষান্বিত হয়ে স্বাধীনতা বিরোধীরা তাকে হত্যা করে। কিন্তু আবু সুফিয়ানের যোগ্য উত্তরসূরী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বঙ্গবন্ধু’র আদর্শকে বাস্তবায়নে সব হারিয়েও শ্রমিকদের পাশে থেকে আবু সুফিয়ানের অসমাপ্ত কর্মসূচিতে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। অধ্যাপক আবু সুফিয়ানের মত ত্যাগী নেতাদের আদর্শকে স্মরণ করে আগামী দিনে রাজনীতি করার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি তিনি আহবান জানান।
গতকাল মঙ্গলবার বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ অধ্যাপক আবু সুফিয়ান (বীর প্রতীক) এর ৪৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। স্মরণসভায় আরও বক্তৃতা করেন নগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। সভা পরিচালনা করেন নগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক হাফেজ মো. শামীম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, কামরুল ইসলাম বাবলু, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, শেখ সৈয়দ আলী, এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, এস এম আকিল উদ্দিন, এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, এ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পী, বিএম জাফর, পীর আলী, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, রনজিত কুমার ঘোষ, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ আলী, কাউন্সিলর শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স, কাউন্সিলর মো. মাহফুজুর রহমান লিটন, কাউন্সিলর মাহমুদা বেগম, হাবিবুর রহমান দুলাল, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা বাদল সরদার বাবুল, এমরানুল হক বাবু, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী পারভিন ইলিয়াস, নূরানী রহমান বিউটি, নূর জাহান রুমি, জেসমিন রহমান শম্পা, কৃষক লীগ নেতা মো. আইউব আলী খান, আলমগীর মল্লিক, মো. শহীদুল হাসান, কানাই রায়, ছাত্রনেতা ইয়াসিন আরাফাত, মাহমুদুর রহমান রাজেস, এম এ হাসান সবুজ, নিশাত ফেরদৌস অনি, ওমর কামাল সহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
স্মরণসভা শেষে শহীদ অধ্যাপক আবু সুফিয়ান (বীর প্রতীক), কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী ও সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম সরোয়ার হোসেন মিলুর আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম।