May 20, 2024
জাতীয়

আদালত স্থানান্তরের বিরুদ্ধে খালেদার রিট আবেদন

 

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য বিশেষ আদালত পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কারাগার থেকে সরিয়ে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়ার সরকারি আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন হয়েছে।

আদালত স্থানান্তরে জারি করা সরকারের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীরা রোববার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। আজ সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহুবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী কায়সার কামাল।

তিনি বলেন, সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদবহির্ভূত পদক্ষেপ হওয়ায় এবং প্রচলিত ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৯ এর (১) ও (২) উপধারাবিরোধী হওয়ায় নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিচারে পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিশেষ জজ আদালত-৯ কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের দুই নং ভবনে স্থানান্তরে গত ১২ মে জারি করা গেজেটকে কেন অবৈধ এবং বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে।

রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে আবেদেনে। স্বরাষ্ট্র সচিব ও আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে বিবাদি করা হয়েছে।

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার বলেন, খালেদা জিয়া একজন পাবলিক ফিগার। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর যে কোনো ট্রায়াল পাবলিকলি হওয়া উচিৎ। কেরানীগঞ্জের কারাগারের একটি রুমে কখনও পাবলিক ট্রায়াল হতে পারে না। তাছাড়া আইনে আছে, মামলাটার বিচার মেট্রোপলিটন এলাকার মধ্যে হতে হবে। কিন্তু কেরানীগঞ্জের কারাগার ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে।

আমরা মনে করি, মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগ বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি ন্যায় বিচার করবেন এবং আদালত স্থানান্তরের যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, সেটির কার্যকারিতা স্থগিত চেয়েছি, আশা করি আদালত স্থগিতাদেশ দেবেন।

গত মঙ্গলবার আদালত স্থানান্তরে ১২ মে জারি করা গেজেট বাতিলে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে চেয়ে আইন সচিবকে আইনি নোটিস দেওয়া হয়। নোটিসে বলা হয়েছিল, এর মধ্যে গেজেটটি প্রত্যাহার বা বাতিল না করলে করলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বর্তমানে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন সুস্থ হলে তাকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়ার সিদ্ধান্তও ইতোমধ্যে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। দুর্নীতির মামলায় এক বছর আগে দণ্ডের পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের পরিত্যক্ত কারাগারে খালেদাকে রেখে তার বিরুদ্ধে অন্য কয়েকটি মামলার বিচারও সেখানেই চলছিল।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *