May 4, 2024
আন্তর্জাতিক

আগামী মাসেই মিয়ানমারকে সাবমেরিন দিচ্ছে ভারত

আগামী মাসেই মিয়ানমারের কাছে একটি কিলো-ক্লাস সাবমেরিন ‘আইএনএস সিন্ধুবীর’ হস্তান্তর করতে যাচ্ছে ভারত। নির্ধারিত সময়ের আগেই সাবমেরিনটি সংস্কার ও সংযোজনের কাজ শেষ করেছে ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিন্দুস্তান শিপইয়ার্ড লিমিটেড (এইচএসএল)।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।

রাশিয়ার তৈরি ভারতের এ সাবমেরিনটিই মিয়ানমারের নৌবাহিনীর জন্য এ ধরনের প্রথম পানির নিচের অস্ত্র হতে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে সাবমেরিনটি সংস্কার করার দায়িত্ব পায় এইচএসএল। নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ করে ভারতের নৌবাহিনীর কাছে সেটি হস্তান্তর করে তারা।

মিয়ানমারকে সামরিকভাবে উন্নত হতে সহযোগিতার অংশ হিসেবে গত বছরের জুলাই মাসে এ সাবমেরিনটি তাদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষের দিকে সিন্ধুবীরকে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।

১৯৮৬ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে কমিশন করা ভারতীয় নৌবাহিনীর কিলো-ক্লাস সাবমেরিনগুলোর একটি হলো আইএনএস সিন্ধুবীর। ২০১৩ সালে এক ডকইয়ার্ডে কামানের গোলায় ধ্বংস হয়ে যায় আইএনএস সিন্ধুরক্ষক নামে একটি সাবমেরিন। সিন্ধুবীর বিদায় হওয়ার পর দেশটির নৌবাহিনীতে এ শ্রেণির সাবমেরিনের সংখ্যা হবে আট।

এর আগেও মিয়ানমারকে সামরিক সহায়তা দিয়েছে ভারত। ২০০৬ সালে সমুদ্র পর্যবেক্ষণের জন্য মিয়ানমারকে এক জোড়া বিএন-২ আইল্যান্ডার এয়ারক্র্যাফট দেয় দেশটি। অন্যদিকে, চীন অনেকদিন ধরেই মিয়ানমার ও বাংলাদেশকে তাদের পুরনো সাবমেরিন দেওয়ার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশকে ইতোমধ্যে দু’টি পুরনো মিং শ্রেণির সাবমেরিন দিয়েছে চীন এবং ঘাঁটি তৈরির জন্য সহায়তাও দিচ্ছে। এরই মধ্যে মিয়ানমারকে সিন্ধুবীর হস্তান্তর করার মধ্য দিয়ে ভারত এ মহাসাগরে চীনের আধিপত্য বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছে।

গত ১৫ বছরে ভারত-মিয়ানমার সামরিক অংশীদারিত্বের সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়েছে। এ মাসের গোঁড়ার দিকে ভারতের নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং মিয়ানমার সফরে গিয়ে ইয়াঙ্গুনের প্রথম নৌবহর পরিদর্শন করে আসেন। থিলাওয়ায় মিয়ানমারের জাহাজ তৈরির কারখানাও ভ্রমণ করেন তিনি। এসব ক্ষেত্রেই ভারতের উল্লেখযোগ্য সহায়তা পেয়েছে মিয়ানমার।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *