আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাড়া অন্যান্য পদে পরিবর্তন আসছে!
সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তার দলের আসন্ন জাতীয় সম্মেলনে সভাপতি পদটি ছাড়া অন্য যে কোনো পদে পরিবর্তন আসতে পারে। গতকাল শুক্রবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। সম্মেলনে সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক পদে কোনো পরিবর্তন আসছে কি না- সেই প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের সামনে রেখেছিলেন একজন সাংবাদিক।
উত্তরে কাদের বলেন, একটা পদে কোনো পরিবর্তন আসবে না। সেটা হচ্ছে আমাদের পার্টির সভাপতি। আমাদের সভাপতি দেশরতœ শেখ হাসিনা। তিনি ছাড়া আমরা কেউ অপরিহার্য না। তিনি এখনও আমাদের জন্য প্রাসঙ্গিক, অপরিহার্য। তৃণর্মূল পর্যন্ত সবাই তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।
এর পরের পদটা কাউন্সিরদের মাইন্ড সেট করে দেয়। সেটাও তিনি (শেখ হাসিনা) ভালো করে জানেন। দল কীভাবে চলবে, কাকে দিয়ে চলবে- সেটাও তিনি জানেন। তিনি যেটা ভাল মনে করবেন, সেটাই করবেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আসবে কি না তা সভাপতিই ঠিক করবেন। পরিবর্তন হলেও আমরা স্বাগত জানাব, আর তিনি যদি রাখেন, সেটাও তার ইচ্ছা। পার্সোনালি আই অ্যাম নট ইন্টারেস্টেড।
বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ আদালতে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হট্টগোলের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা ‘ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ’। এটা কোনো রাজনৈতিক মামলা নয় যে রাজনৈতিকভাবে সরকার মুক্তি দিতে পারে। এটা হল দুর্নীতির মামলা। দুর্নীতির মামলায় সরকারের কিছু করার নেই। এটা আদালতের বিষয়।
আজকে তারা (বিএনপি) কথায় কথায় বলে রাজনৈতিকভাবে আটকে রাখা হয়েছে, বন্দি করে রাখা হয়েছে। এগুলো মিথ্যা এবং সত্যের অপলাপ। বিষয়টি তারা জেনে শুনেই বলছে। আর আদতালত প্রাঙ্গণে তারা রণাঙ্গন সৃষ্টি করেছে, এটা সবাই দেখেছে। আদালতের ভিতরে শেষ পর্যন্ত প্রধান বিচারপতিকে কমেন্ট করতে হয়েছে- ‘আমি এমন ঘটনা কখনো দেখিনি, বাড়াবাড়ির একটা সীমা আছে।’ এমন কমেন্ট তিনি করেছেন।
আদালতে বিএনপি কর্মীদের ওই আচরণকে আন্দোলনে ও নির্বাচনে তাদের ‘দগদগে ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ’ হিসেবে বর্ণনা করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তারা রাজনীতিতে ব্যর্থ, সাংগঠনিকভাবেও ব্যর্থ। দলের নেতৃত্বের ডাক আসে টেমস নদীর তীর থেকে। বাংলাদেশের বাস্তবতার ক্ষেত্রে তাদের নেতৃত্বের নির্দেশের কোনো মিল নেই।
দুর্নীতি মামলার সাজায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তি কীভাবে সম্ভব- সে বিষয়ে বিএনপি নেতাদের মধ্যেই মতভেদ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাদের দলের একেক জন একেক কথা বলেন। কেউ বলেন দুর্বার আন্দোলন ছাড়া মুক্তি নেই, আবার কেউ বলেন আন্দোলন করার সময় এখনও হয়নি।
বিএনপি ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার’ করতে চাইছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা বারবার ডাক দিচ্ছে, পাবলিকের সাড়া পাচ্ছে না। গণআন্দোলন বলেন, গণ অভ্যুত্থান বলেন, পাবলিককে ছাড়া তো আর হয় না। পাবলিককে নিয়েই করতে হবে।
সব ষড়যন্ত্র রুখতে আওয়ামী লীগও ‘প্রস্তুত আছে’ জানিয়ে তিনি বলেন, এখন সাংগঠনিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ খুবই শক্তিশালী, সু-সংগঠিত, সুশৃঙ্খল পর্টি।