May 18, 2024
জাতীয়লেটেস্টশিক্ষাশীর্ষ সংবাদ

অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য স্মার্টফোন : ৩ মন্ত্রণালয়ে ইউজিসির চিঠি

আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের ডিভাইস ক্রয়ে আর্থিক সহযোগিতা দেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা আসবে ইউজিসিতে। আর স্মার্টফোন ক্রয়ে অর্থ সংগ্রহে সরকারের সংশ্লিষ্ট তিন মন্ত্রণালয়, বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ সংশ্লিষ্টদের পত্র দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছে ইউজিসি। এছাড়া এডিবি ও বিশ্ব ব্যাংকসহ অন্যান্য সংস্থার কাছেও এ বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। যে খাত থেকে আগে অর্থ পাওয়া যাবে তা দিয়েই শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ক্রয়ের অর্থ সংগ্রহ করা হবে। তবে সরকারি খাত থেকেই এ অর্থ দ্রুত পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসি সচিব ফেরদৌস জামান জাগো নিউজকে বলেন, ‘দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তায় আমরা ইতোমধ্যে সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠিয়েছি। এছাড়া এডিবি ও বিশ্ব ব্যাংক থেকেও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। তবে বিশ্ব ব্যাংক, এডিবির প্রক্রিয়া দীর্ঘ। তাই আপতত সরকারের কোষাগারের ওপর ভরসা করছি। যেটাই আগে পাওয়া যায় সেটাই গ্রহণ করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চিঠি দিয়েছি শিক্ষার্থীদের ডাটা দেয়ার জন্য। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্টে শিক্ষার্থীদের পুরো আর্থিক অবস্থার ডাটা থাকে। ডিপার্টমেন্ট থেকে শিক্ষার্থীদের কাছে আবেদন চাওয়া হবে। সেটার ভিত্তিতে ডিপার্টমেন্ট যাকে সহযোগিতার দেয়ার প্রয়োজন মনে করবে তার ডাটা আমাদের কাছে দেবে। আমরা তার আলোকে শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কেনা বাবদ লোন প্রদান করব।’

এর আগে ইউজিসি থেকে ৪৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা চেয়ে চিঠি দিয়েছে ইউজিসি।

ইউজিসি সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এ অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থায় শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে গত ২৫ জুন কমিশন এবং উপাচার্যদের জুম ক্লাউডে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপাচার্যরা অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে যাতে সকল শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারে, সেজন্য উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধাসহ শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ডাটা সরবরাহ এবং সফট লোনের আওতায় স্মার্টফোন সুবিধা দিতে মতামত দেন। তাদের মতামতের ভিত্তিতে মঞ্জুরি কমিশন থেকে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর চিঠি পাঠানো হয়।

ফেরদৌস জামানা বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের তালিকা চেয়েছি। আশা করছি, আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চূড়ান্ত তালিকা পাওয়া যাবে।

এদিকে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে যে সকল শিক্ষার্থীর ডিভাইস ক্রয়ে আর্থিক সক্ষমতা নেই, শুধুমাত্র সে সকল শিক্ষার্থীর নির্ভুল তালিকা ২৫ আগস্ট তারিখের মধ্যে (director_publicuniv@ugc.gov.bd) ই-মেইলে পাঠাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *