মোংলায় ভূয়া ওয়ারেশ সেজে জমি বিক্রির অভিযোগ, তীব্র উত্তেজনা
সফিকুল ইসলাম শান্ত, মোংলা
মোংলায় ভূয়া ওয়ারেশ সেজে জমি বিক্রিয় করায় ডিসিয়ারের মাধ্যমে সরকারি জমি লীজ নিয়ে বিপাকে পড়েছে মহিদুল ও শহিদুল ইসলাম নামের সহোদ।ে সরকারি জমি মোঃ শাহজাহান শেখের ছেলে মোঃ সাগর শেখ ক্রয় করে প্রকৃত লীজে নেয়া মালিকদের উচ্ছেদের পায়তারা চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে আদালতে মামলা দিয়েও প্রতারণার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা পরিবার দুটি।
মামলার বিবরণ ও সরেজমিন রেকর্ড পত্র দেখে জানা গেছে, মোংলার শেলাবুনিয়া মৌজার ১৪০ নং খতিয়ানের ভিপি. ৫১২,৫১৩,৫১৪,৫১৫ ও ৫১৬নং দাগের ২৫ শতক কৃষি জমি পূর্ব শেলাবুনিয়ার মৃত সাহেব আলীর ছেলে মোঃ মহিদুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলামের নামে ২০০৬ সাল থেকে সরকারি ভাবে লীজ নিয়ে ভোগ দখল করে আছিলেন। পূর্বে এ জমির রেকর্ডীয় মালিক ছিলেন সূর্য নারায়ন। তবে মোংলা পোর্ট পৌর সভার তৎকালীন চেয়ারম্যান শেখ আঃ হাইয়ের দেয়া ওয়ারেশকায়েমে দেখা যায়, সূর্য নারায়ন হালদারের মৃত্যুকালীন অনন্ত হালদার, ধীরেন্দ্র নাথ হালদার ও সুরেন্দ্রনাথ হালদার নামে ৩ ছেলে রেখে যান। এর মধ্যে ধীরেন্দ্র নাথ মৃত্যুকালে পরিতোষ হালদার ও কিশোর কুমার হালদার নামের ২ ছেলে রেখে গেছেন। সুর্য নারায়নের এক পুত্র নিঃসন্তান অবস্থায় মারা গেলে ওই দাগের একাংশ জমি সরকারি ভিপি দাগ হয়। যা সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী মহিদুল ও শহিদুল লীজ নিয়ে দখলে আছেন।
তবে সুকাজল হালদার নামের এক ব্যক্তি ধীরেন্দ্র নাথ হালদারের অপর ছেলে সেজে কাগজ পত্র তৈরি করে একই দাগ খতিয়ানের জমি ২০১৮ সালে ১৯১০নং দলিলে সাগর শেখ ও তার ২ শিশু সন্তানের নামে রেজিষ্ট্রি করে দেয়। সাগর শেখ এ জমি দখলের পায়তারা করলে উভয় পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ ও বাক-বিতান্ডার সৃষ্টি হয়। সরকারি লীজ গ্রহীতা মহিদুলের পরিবার তাদের বাড়ি ঘরে টিকে থাকতে আদালতের স্মরণাপন্ন হলে আদালত ২৬ মে মোংলা থানাকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখার নির্দেশ দেয়। তবে এর পরেও সাগর শেখ তার প্রভাব খাটিয়ে ওই সম্পত্তি দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।