করোনাভাইরাস: যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে। দেশটির সিয়াটল শহরে আরও চার জনের মৃত্যুর ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ছয় জনে দাঁড়িয়েছে।
সিয়াটল এন্ড কিং কাউন্টি পাবলিক হেলথ এজেন্সির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জেফ ডুচিন সোমবার করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত অসুস্থতায় মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার এ ঘোষণা দেন।
এর আগে ওয়াশিংটন রাজ্যে ভাইরাসটিতে দুই জনের মৃত্যু হয়েছিল, এরপর আরও চার জনের মৃত্যু হওয়ায় অঙ্গরাজ্যটিতে মৃতের সংখ্যা ছয় জনে দাঁড়াল। মৃতদের সবাই সিয়াটলের বাসিন্দা ছিলেন।
এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে কর্তৃপক্ষগুলো আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধরে নিয়ে পরীক্ষার আয়োজন জোরদার করে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে, দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের ভাষ্য অনুযায়ী, দেশটিতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে ১০২ জনে দাঁড়িয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ৪৫ জনকে জাপানের ইয়োকাহামা বন্দরে কোয়ারেন্টিন থাকা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেস থেকে ও আরও তিন জনকে সংক্রমণের উৎসস্থল চীনের উহান থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি অঙ্গরাজ্যে আরও ৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ক্যালিফোর্নিয়ায়, ২০ জন। ১৮ জন আক্রান্ত নিয়ে এরপরই আছে ওয়াশিংটন, এখানেই নভেল করোনাভাইরাসে সৃষ্ট রোগ কভিড-১৯ এ ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে ডুচিন জানান, যে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে অন্তত চার জন হয় বয়োবৃদ্ধ অথবা আগে থেকেই বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছিল বা অসুস্থ বয়োবৃদ্ধ লোক ছিল।
তিনি জানান, তার অধীনে যে ১৪ জন রোগী আছেন তাদের মধ্যে আট জন সিয়াটলের কার্কল্যান্ড এলাকার একটি নার্সিং স্থাপনায় ছড়িয়ে পড়া প্রাদুর্ভাব থেকে আক্রান্ত হয়েছেন, এখানে আক্রান্তদের মধ্যে চার জনের মৃত্যু হয়েছে।
এরপরও যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স হোয়াইট হাউসের এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের করোনভাইরাসজনিত ঝুঁকি এখনও কম।
গত বছরের শেষ দিনে উহানে প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর থেকে ভাইরাসটি অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ ছাড়া সব মহাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাসটিতে সোমবার পর্যন্ত ৩ হাজার ১০০ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে এবং ৭০টি দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।