April 25, 2024
আঞ্চলিকবিজ্ঞপ্তিলেটেস্ট

‘স্বাধীনতা-আন্দোলন-মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নাম শেখ শহিদ’

খবর বিজ্ঞপ্তি : খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, শেখ শহিদ ছাত্রজীবনে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে ছিলেন ব্যাপক জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব। ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রহণযোগ্য ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি প্রথম সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন এবং পরের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আমি এজিএস নির্বাচিত হই। শেখ শহিদসহ আমরা সকল ছাত্রদের নিয়ে গণঅভ্যুথানে যোগ দেই।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব দিয়েছিল ঠিকই কিন্তু আন্দোলন করেছে ছাত্রলীগ। পরবর্তীতে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয় এবং সেই ছাত্র সংগ্রাম পরিষদে শেখ শহিদ সিটি কলেজের প্রতিনিধিত্ব করেন। পরবর্তীতে মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পরে তিনি সাধারণ বীমা কর্পোরেশনে চাকুরী নেন এবং সেই সময়েও তাঁর জীবনের উপর হুমকি ছিল। পরবর্তীতে তিনি খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার দায়িত্ব দেন তাঁকে। তিনি আমাদের নিয়ে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শেখ শহিদ সকল লোভের উর্ধ্বে থেকে রাজনীতি করেছেন। তাঁর অবদান ভোলার নয়। তাঁর কর্মময় জীবনের সকল ত্যাগ তিতীক্ষাকে সামনে রেখে আমাদের রাজনীতি করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার বাদ মাগরিব আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সরকারী মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজের নির্বাচিত প্রথম ভিপি ও জাতীয় শ্রমিকলীগ খুলনা মহানগর শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শহিদুল হক এর ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী। বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, এ্যাড. নিমাই চন্দ্র রায়, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, সফিকুর রহমান পলাশ, শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল।
সভা পরিচালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মো. ফারুক আহমেদ, কামরুজ্জামান জামাল, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, এ্যাড. নব কুমার রায়, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, রফিকুর রহমান রিপন, হালিমা ইসলাম, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, অধ্যাপক মিজানুর রহমান, শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন খান, হাফেজ মো. শামীম, এ্যাড. শাহ আলম, শেখ মোশাররফ হোসেন, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, শেখ সৈয়দ আলী, জয়ন্তী রানী সরদার, কাউন্সিলর লুৎফুন নেসা লুৎফা, কাউন্সিলর মাহমুদা বেগম, ড. মাহবুব উল ইসলাম, আব্দুল হাই পলাশ, এ্যাড. শামীম মোশারফ, মীর মো. লিটন, এ্যাড. এনামুল হক, এস এম আকিল উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম মন্টু, এস এম হাফিজুর রহমান হাফিজ, রোজী ইসলাম নদী, আব্দুল কাদের শেখ, কাজী কামাল হোসেন, নজরুল ইসলাম দুলু, সওকাত হোসেন, কবির পাঠান, তাজুল ইসলাম, জুয়েল হাসান দিপু, ইব্রাহিম মার্শাল, মেহেদী হাসান মোড়ল, কে এম শাহীন, রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, রাশেদজ্জামান রিপন. সরদার জাকির হোসেন, মুন্সি নাহিদুজ্জামান, আব্দুল মালেক, অজিত বিশ্বাস, আসাদুজ্জামান রিয়াজ, শরীফ এনামুল হক, বাচ্চু মোড়ল, জামিল খান, বিধান রায়, পাপিয়া সরোয়ার, নূরীনা রহমান বিউটি, মনোয়ারা বেগম, কবিতা আহমেদ, সাবিহা ইসলাম আঙ্গুরা, রিতা আলম, ওসি বেগম, সোহেল বিশ্বাস, তাজমুল হক তাজু, আসাদুজ্জামান বাবু, এস এম মাসুদ হোসেন সোহান, রনবীর বাড়ৈ সজল, মাহামুদুল হাসান শাওন, জব্বার আলী হিরা, ঝলক বিশ্বাস, মিনহাজ সুজন, জহির আব্বাস, দিদারুল আলম, মাহামুদুল হাসান সুজন, মো. কামাল হোসেন, আব্দুস সালাম, শিকদার রাসেল, শেখ সাকিব, সোহান হোসেন শাওন, শেখ টিপু সুলতান, তায়েজুল ইসলাম তাজ, মাহামুদুর রহমান রাজেশসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভা শেষে শেখ শহিদুল ইসলামের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *