April 19, 2024
জাতীয়

হাই কোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে মার্জনা পেলেন সারওয়ার আলম

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

সাজার পর চার মাসেও আদেশের অনুলিপি না দেওয়ার ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে মার্জনা পেলেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় তাকে আনুষঙ্গিক সব ধরনের সহযোগিতা দিতে স্বরাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ দেয়।

আদালতে সারওয়ার আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম. সাখাওয়াত হোসাইন খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও অমিত তালুকদার।

পরে মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ বলেন, আদালত জানতে চেয়েছিলেন আদেশের অনুলিপি দিতে কেন দেরি হয়েছিল। উনি বলেছেন, বছরে চারশ থেকে ছয়শ মামলা করি। তাছাড়া ঢাকার বাইরে সাজা দিলে বা মামলা করলে এই সমস্যাগুলো হয়। কারণ আদেশের নকল আমি দেই না, আদেশের নকল দেন এডিএম (অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট)। উনার কাছে ফাইল পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

তখন আদালত বলে, আপনার লজিস্টিক সাপোর্টের অভাব আছে বলে মনে হচ্ছে। আপনার একার পক্ষে এত কিছু করা আসলেই অসম্ভব। ঠিক আছে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়ে দিব যেন আপনাকে লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়া হয়।

এসব ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে তিনি আরও সতর্ক হবেন জানিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলে আদালত মামলাটি নিষ্পত্তি করে আদেশ দেয় বলে জানান এই আইনজীবী।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জের বটতলা খাল পাড়ের তপু এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মো. মিজান মিয়াকে মৎস্য ও পশু খাদ্য আইনে গত ১৮ জুলাই এক বছরের সাজা দেন র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম।

এরপর মিজান মিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। এই সাজার বিরুদ্ধে তিনি আপিল করবেন। এজন্য গত ২১ জুলাই আইনজীবী অঞ্জন দাসের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আদেশের অনুলিপি চেয়ে আবেদন করেন।

কিন্তু সাজার পর চার মাস পার হয়ে গেলেও সে আদেশের অনুলিপি পাওয়া যায়নি। ফলে আপিলও করতে পারছেন না মিজান মিয়া। ওই আদেশের অনুলিপি দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনটি করা হয়। গত ১৮ নভেম্বর সে আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারির পাশাপাশি সারওয়ার আলমকে তলব করে।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *