May 19, 2024

Day: February 6, 2019

আঞ্চলিক

খুবিতে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসে ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা  

খবর বিজ্ঞপ্তি     জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে ‘গ্রন্থাগারে বই পড়ি, আলোকিত মানুষ গড়ি’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের উদ্যোগে ক্যাম্পাসে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষের নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি কবি জীবনানন্দ দাস একাডেমিক ভবন ও কবি কাজী নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবন চত্বর থেকে শুরু করে কটকা ও হাদী চত্বর হয়ে অদম্য বাংলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ।     তিনি বলেন জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের স্বতস্ফ‚র্ত উপস্থিতি আমাদেরকে আশান্বিত করেছে। তিনি বলেন গ্রন্থাগার ব্যবহার তথা বই পড়া মানুষের সংখ্যা কমে যাওয়া এটা উদ্বেগের। কারণ, সভ্যতা বিকাশের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান বইয়ের। আর বই পড়ে যে আনন্দ ও জ্ঞান লাভ করা যায় তা ই-বুকে বা অন্য কোনো মাধ্যমে পাওয়া যায় না। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, বিভাগীয় প্রধানবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।    

Read More
আঞ্চলিক

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে কেসিসিতে প্রস্তুতি সভা  

খবর বিজ্ঞপ্তি     যথাযথ মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০১৯ পালনের লক্ষ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের এক সভা গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কান্তি বালা’র (যুগ্ম সচিব) সভাপতিত্বে তার অফিসে কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।       শহীদ মিনারসমূহ আলপনা দ্বারা সজ্জিতকরণ, দিবসের প্রথম প্রহরে (১২টা ১ মিনিটে) শহীদ হাদিস পার্কস্থ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তাবক অর্পণ, সূর্য্যােদয়ের সাথে সাথে নগর ভবন, মেয়র ভবন, খালিশপুর শাখা অফিস, পাবলিক হল, নগর স্বাস্থ্য ভবন, মাতৃসদন, পৌর গ্যারেজ, এ্যাসফল্ট প্লান্ট, ওয়ার্ড অফিস সহ কমিউনিটি সেন্টার ও কেসিসি পরিচালিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, গুরুত্বপূর্ণ মোড়সমূহে বাংলা বর্ণমালা লিখিত ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিতকরণ, সকল ৯টায় নগর ভবনে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।      কেসিসি’র সচিব মোঃ আজমুল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো: আব্দুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আব্দুল আজিজ, লিয়াকত আলী খান, জাহিদ হোসেন শেখ, ভেটেরিনারী অফিসার ডা. মোঃ রেজাউল করিম, জনসংযোগ কর্মকর্তা সরদার আবু তাহের, রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ অহিদুজ্জামান খান, এস্টেট অফিসার নুরুজ্জামান তালুকদার, কালেক্টর অব ট্যাক্সেস তপন কুমার নন্দী, প্রধান সহকারী মীর রেফাকাত আলী, বাজার সুপার সেলিমুর রহমান, নিরাপত্তা সুপার লুৎফর রহমান, কেসিসি কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিন হোসেন, এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের সভাপতি সোবহান আলী, সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন রাজা  প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।   

Read More
আঞ্চলিক

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রীর সফরসূচি  

তথ্য বিবরণী     পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার চার দিনের সফরে আজ ৬ ফেব্রুয়ারি  রাতে খুলনা আসছেন। সফরসূচি অনুযায়ী উপমন্ত্রী ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় মোংলা বন্দরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এবং বেলা দুইটায় মোংলা পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন।     তিনি ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল তিনটায় দুবলার চরে জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি এলাকা পরিদর্শন এবং বনজীবি ও মৎস্যজীবিদের সমাবেশে যোগদান করবেন। উপমন্ত্রী ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত পরিবেশ বিষয়ক সেমিনারে যোগদান করবেন। বিকেলে তিনি ঢাকার উদ্দেশে খুলনা ত্যাগ করবেন।   

Read More
আঞ্চলিক

খুলনায় জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদযাপন  

দ: প্রতিবেদক     গতকাল মঙ্গলবার ছিল একুশে বইমেলা, খুলনা’র ৫ম দিন। জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের এই দিনে বইমেলার অনুষ্ঠানমালায় ছিল বিশেষ আয়োজন। সারাদেশব্যাপী জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদযাপনের বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনাতে এই উপলক্ষে বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বাংলাদেশ বেতার খুলনা থেকে শুরু হয়ে খুলনা বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারে একুশে বইমেলা, খুলনা প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে খুলনার বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী, সরকারি ও বেসরকারি গ্রন্থাগার পেশাজীবী ও সংগঠক, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনীয়।     র‌্যালী শেষে বইমেলার মঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপভূমি সংস্কার কমিশনার (যুগ্মসচিব), খুলনা বিভাগ, খুলনা এস. এম রইজ উদ্দিন আহম্মদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান আক্কাচ উদ্দিন পাঠান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, খুলনা মোঃ ইউসুফ আলী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় সরকারি গণ্রন্থাগার, খুলনার সহকারী পরিচালক ড. মোঃ আহছান উল্যাহ।     ‘গ্রন্থাগারে বই পড়ি আলোকিত মানুষ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যের উপর আলোচনাকালে আলোচকগন গ্রন্থ ও গ্রন্থাগারের গুরুত্বের উপর সবিশেষ আলোকপাত করেন এবং নিজেদের জীবন বিকাশে সকলকে গ্রন্থাগারমুখী হওয়ার আহŸান জানান। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে মহান বিজয় দিবস-২০১৮ উপলক্ষে বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার, খুলনা আয়োজিত রচনা ও বইপাঠ প্রতিযোগতায় বিজয়ীদেও মধ্যে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করা হয়। জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদযাপন উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমী, খুলনার আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। পরবর্তীতে বইমেলার নিয়মিত আয়োজনের অংশ হিসেবে অনিকেত একাডেমী ও সুরঝংকার এর শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দর্শক সামগ্রিক আয়োজন উপভোগ করে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন এস এম হুসাইন বিল্লাহ, ইফ্ফাত আরা ন্যান্সী এবং সালমানুল মেহেদী মুকুট।  

Read More
আঞ্চলিক

খুলনায় ইশা ছাত্র আন্দোলনের কাউন্সিল আগামী শুক্রবার  

খবর বিজ্ঞপ্তি     গতকাল মঙ্গলবার ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন খুলনা জেলা সভাপতি শেখ আমীরুল ইসলাম ও নগর সভাপতি মুহা. ইসহাক ফরিদি এক যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে জানান আগামী ৮ ফেব্রুয়ারী শুক্রবারইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন খুলনা  জেলা ও নগর কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।      বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, সম্মেলনের স্থান ও প্রশাসনে অবহিত সহ সকল প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন। আগামী ০৮ ফেব্রুয়ারী১৯ ইং শুক্রবার তারিখ আয়োজিত সম্মেলনরে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে নগরীর গোলকমনি শিশুপার্ক।      উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ। প্রধান আলোচক থাকবেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করিম মারুফ। আরও বক্তব্য রাখবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ, বরেণ্য শিক্ষাবিদ, ছাত্র নেতৃবৃন্দ সহ অনেকে। উক্ত সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার জন্য ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন খুলনা জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ সকলকে আহ্ববান  জানান।      বিবৃতি দাতারা হলেন শেখ মুহা. সাইফুল ইসলাম, এস.কে নাজমুল হাসান, খালিদ সাইফুল্লাহ, নাজমুল হুদা, মুহা. নাজমুস সাকিব, আঃ সালাম জায়েফ, আব্দুল্লাহ নোমান, মুহা. মইনুল ইসলাম, বেলাল হুসাইন, মাহমুদুল হাসান, ইনামুল হাসান সাইদ, নুর আল,  আল আমিন, মাহদী হাসান, আমানুুল্লাহ, মুহা. ফরহাদ মোল্লা, ইবররাহিম ইসলাম, আবু রায়হান, মইনুদ্্িদন, ইয়ামিন, মো সাব্বির হোসেন, রফিকুল ইসলাম, আ: আলীম মুুহা. শফিকুর  রহমান, আ: সবুর, শফিকুল ইসলাম।   

Read More
আঞ্চলিক

সুন্দরবন থেকে হরিণের মাংস উদ্ধার  

দ: প্রতিবেদক     সুন্দরবনের কালির খাল এলাকা থেকে দুইটি হরিণের মাথাসহ চামড়া ও ১০ কেজি মাংস উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। উদ্ধারকৃত চামড়া, মাথা ও মাংস গতকাল মঙ্গলবার সকালে সুন্দরবন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কোস্টগার্ড এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।     মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন সদর দপ্তরের অপারেশন অফিসার লে. আব্দুল­াহ আল মাহমুদ জানান, পশ্চিম সুন্দরবনের কালির খাল এলাকায় একদল চোরা শিকারি অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্টগার্ডের কৈখালী স্টেশনের সদস্যরা সোমবার রাতে ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরা শিকারিরা সুন্দবনের গহীনে পালিয়ে যায়। পরে কোস্টগার্ড সদস্যরা ঘটনাস্থলে তল­াশি চালিয়ে ২টি হরিণের চামড়া, ২টি মাথা ও ১০ কেজি মাংস উদ্ধার করে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উদ্ধার হওয়া চামড়া, মাথা ও মাংস সকালে কৈখালী ফরেস্ট অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।  

Read More
আঞ্চলিক

বটিয়াঘাটায় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীতে এগিয়ে ফরিদ রানা  

দ: প্রতিবেদক     বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য, বটিয়াঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগ খুলনা জেলা শাখার সভাপতি, ছাত্রলীগের সোনালী অর্জন এসএম ফরিদ রানা আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বটিয়াঘাটায় থেকে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রত্যাশা করে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামতে তার নাম উঠে এসেছে জোরে-সোরে।     বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে নবম শ্রেণীতে অধ্যায়ণকালে ফরিদ রানা ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। বটিয়াঘাটা উপজেলার গাওঘরা বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মনোনীত হন। এসএসসি পাসের পর ১৯৯৮ সালে ডুমুরিয়া উপজেলার মাওলনা ভাসানী মোমোরিয়াল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরবর্তী বছর ওই কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।      ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে অবস্থান করাকালীন ফরিদ রানার রাজপথের অবদান ছিলো অভাবনীয়। যার প্রেক্ষিতে তাকে বটিয়াঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সস্মেলন প্রস্তুত কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মনোনীত করা হয়। মাত্র দুই মাসের মাথায় ফরিদ রানা নেতৃত্ব দিয়ে বর্ণঢ্য আয়োজনে উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন সম্পন্ন করেন। অসংখ্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর সমার্থন, রাজপথে উল্লেখযোগ্য অবদান আর সেদিনে শেখ হারুনুর রশীদের সাথে পরিচয়ে এবং জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজকের উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খান, তৎকালীন উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম আব্দুল আজিজ গোলদার এবং বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্রনেতা শেখ মোঃ হাদি-উজ-জামান হাদী ও উপজেলা আ’লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক, বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আঃ হাদী সরদারের সহযোগীতায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। রাজপথের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মোঃ আবু হানিফ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ নূরুজ্জামান মেধাবী ছাত্রনেতা ফরিদ রানাকে জেলা ছাত্রলীগের সদস্য মনোনীত করেন। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে সে দায়িত্ব এবং কর্তব্যের প্রতি অটল ছিলো।      ১/১১ সরকারের শাসন আমলে তাকে দেখা গেছে মাত্র ৫/৬ জন কর্মীকে সাথে নিয়ে দেশরতœ শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে বটিয়াঘাটার রাজপথে মিছিল করতে। এভাবেই চলেছে ফরিদ রানার ছাত্ররাজনীতির কর্মকান্ড। ২০০৯ সালে এমএ পাশের মাধ্যমে শিক্ষা জীবনের সমাপ্তি এবং বৈবাহিক জীবনে যাওয়ায় ছাত্ররাজনীতি থেকে বিদায় নিয়ে বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগ খুলনা জেলা শাখার আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে মনোনীত হন। অল্পদিনেই জেলার নয়টি উপজেলায় সৈনিকলীগের কর্মকান্ড ছড়িয়ে দেয়। দুই বছরের ব্যবধানে এক সম্মেলনের মাধ্যমে তাকে বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগ খুলনা জেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।     সংগঠনের পাশাপাশি তিনি নিজ ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। যার ফলশ্রæতিতে গত ২৮ জানুয়ারী’১৯ সোমবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে দলীয় মনোনায়ন প্রাপ্তির জন্য প্রস্তাব আনা হয়। সুরখালী ইউনিয়ন আ’লীগের ৩ যুগেরও অধিক সময়ের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ সরকার সাবেক এই ত্যাগী ছাত্রনেতা ফরিদ রানাকে উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যানে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার প্রস্তাব করেন। উক্ত প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ দাঁড়িয়ে সমর্থন করেন।     দলীয় মনোনয়নে কতটা আশাবাদী এমন প্রশ্ন করতেই ফরিদ রানা বলেন, দীর্ঘ দিন সংগঠনের প্রতি ত্যাগ, সময়, মেধা ও শ্রম দিয়ে এসেছি। এরপরও সিনিয়র নেতৃবৃন্দ যে সিদ্ধান্ত নিবেন বিশেষ করে আমার রাজনৈতিক অভিভাবক খুলনা জেলা আ’লীগের সভাপতি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ’র সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে আমি মনে করি।  

Read More
আঞ্চলিক

নগর ডিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ১  

দ: প্রতিবেদক     খুলনায় ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আমিরুল হাসান লেলিন (৪৫) নামের এক মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটককৃত লেলিন খালিশপুর থানাধীন নয়াবাটি এলাকার মৃত আব্দুল ছালাম খানের ছেলে। কেএমপি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (আরসিডি) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু এ তথ্য জানিয়েছেন।     তিনি জানান, খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গতকাল মঙ্গলবার খালিশপুর থানাধীন নয়াবাটি মোড়স্থ ফিরোজা মেডিসিন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।  

Read More
আঞ্চলিক

খুলনায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক ৯৬  

দ: প্রতিবেদক    খুলনা জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ অভিযানে মাদকবিক্রেতাসহ ৯৬ জনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।     জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনিচুর রহমান জানান, খুলনার নয়টি থানার বিভিন্নস্থানে ২৪ ঘণ্টার নিয়মিত অভিযানে নয় মাদকবিক্রেতাসহ মোট ৫৯ জন আসামিকে আটক করা হয়েছে। আটকদের কাছ থেকে ৩০ পিস ইয়াবা ও ২২০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে মোট আটটি মামলা দায়ের করে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।     খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (আরসিডি) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু জানান, মহানগরের আট থানায় ২৪ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ১৪ জন মাদকবিক্রেতাসহ মোট ৩৭ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের কাছ থেকে ৪০ পিস ইয়াবা ও এক কেজি ৯১০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।   

Read More
আঞ্চলিক

ময়ূর নদের অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিলো প্রশাসন  

দ: প্রতিবেদক     খুলনায় ময়ূর নদসহ সংযুক্ত ২২টি খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে নগরীর গল­ামারী ব্রিজের কাছে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা মার্কেট, স্থাপনা ও নদীর মধ্যে থাকা লিনিয়ার পার্কের একাংশ ভেঙে দেওয়া হয়।      অভিযানে নেতৃত্ব দেন খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো দেলোয়ার হোসেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খান মাসুম বিল­াহ প্রমুখ।     খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে খুলনা সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় ময়ূর নদসহ মহানগরের অভ্যন্তরীণ ও পার্শ্ববর্তী খালগুলোর অবৈধ দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মহানগরীর ময়ূর নদসহ ২২ খালের স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনা, খুলনার সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা ও বসবাসের উপযোগী করার লক্ষ্যে সম্পূর্ণরূপে দখলমুক্ত করা হবে।      খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, খালে অবৈধ জায়গা উচ্ছেদে পৃথক তিনটি কমিটি করা হয়েছে। এসব কমিটিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সচেতন মানুষসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা রয়েছেন। তিনি বলেন, অবৈধ দখলদারদের তাদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে মাইকিং করা হচ্ছে। যদি তারা তাদের স্থাপনা সরিয়ে না নেয় তাহলে তা ভেঙে দেওয়া হবে।     এদিকে উচ্ছেদ কার্যক্রম সফল করার জন্য ১১ সদস্য বিশিষ্ট টেকনিক্যাল কমিটি ও ২৫ সদস্য বিশিষ্ট উদ্ধার কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর আগে সোমবার খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এসব খালের বর্তমান অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।      জানা যায়, প্রভাবশালীরা স্রোতহীন ময়ূর নদে খুব সহজেই পাটা ও বাঁধ দিয়ে প্রতিদিনই দখল কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। পৈত্রিক সম্পত্তির মতো গাছপালা লাগানো ও চাষাবাদসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা, এমনকি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পাকা বাড়ি-ঘর ভবন নির্মাণ করেছিলেনও অনেকে।     দুই যুগ আগেও ময়ূর নদে পালতোলা নৌকা চলাচল করতো। অনেক জেলে পরিবারের জীবিকার মূল উপজীব্য ছিল এ নদী। গোসল ও তৈজসপত্র ধোয়ার কাজে নদীর পানি ব্যবহার করতো। অথচ এখন দখল ও দূষণে আর ব্যবহারের উপযোগী নেই। ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ ময়ূর নদের সঙ্গে আগে রূপসা নদীর সরাসরি সংযোগ ছিল। দখলে নদী হারিয়েছে নিজস্বতা। ময়ূর নদকে নাব্য করতে ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৬ সালে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন। তাতে পুরোপুরি দখলমুক্ত হয়নি নগরীর খালগুলো। বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটিসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী সামাজিক সংগঠন খাল দখল মুক্তকরণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল।   

Read More