May 17, 2024
জাতীয়লেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

৫ কেজির ওপরে ড্রোন ওড়াতে লাগবে অনুমতি

বিনোদন, খেলনা, অবাণিজ্যিক উদ্দেশ্য এবং সামরিক বা রাষ্ট্রীয় প্রয়োজন ছাড়া পাঁচ কেজির ওপরে ড্রোন ওড়াতে অনুমতি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রেখে ‘ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা-২০২০’ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নীতিমালার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয় থেকে মন্ত্রিসভার সদস্যরা এতে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা চলছিল ড্রোন কি সবাই তার ইচ্ছামতো পরিচালনা করতে পারবে, না এগুলোর জন্য কোনো রেগুলেশন প্রয়োজন আছে। এটা নিয়ে ৭/৮ মাস ধরে আলোচনা ও মিটিং করে বিশেষজ্ঞসহ সবার মতামত নিয়ে চারটা শ্রেণি করে দেওয়া হয়েছে।

বিনোদনের জন্য ‘ক’ শ্রেণি করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ছেলেমেয়েরা খেলনা হিসেবে ব্যবহার করবে। এটার ওজন অবশ্যই পাঁচ কেজির নিচে হতে হবে। পাঁচ কেজির বেশি হলে এটা আর বিনোদনের মধ্যে পড়বে না।

অবাণিজ্যিক ‘খ’ শ্রেণি জানিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অবাণিজ্যিক কাজের জন্য কেউ যদি পাঁচ কেজির বেশি ড্রোন ওড়াতে চায়, তবে কোনো বাণিজ্যিক ভিউ থাকতে পারবে না। অনেকে বিভিন্ন জিনিস দেখে, যেমন বনের সার্ভে করে, গবেষণা বা বই লেখার মতো নিজের কাজের জন্য ব্যবহার করে।

বাণিজ্যিক কাজের জন্য ‘গ’ শ্রেণি জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এর ওজন পাঁচ কেজির ওপর। যেমন কোথাও সার্ভে করবে জমিজমা বা ফসলের ওপর। কোনো প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি করবে, যেমন- কেউ যদি আনারসের জেলি করার জন্য ইন্ডাস্ট্রি করতে চান, তিনি হয়তো হিল ট্রাকসে একটা সার্ভে করতে পারেন কী পরিমাণ প্রোডাকশন আসতে পারে, কারা কনট্রাক্ট ফার্মার হতে পারেন- এটা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য।

‘ঘ’ শ্রেণি রাষ্ট্রীয় বা সামরিক কাজের জন্য ব্যবহার হয় জানিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রীয় কাজ যেমন- পদ্মায় যে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। বর্ষাকালে দেখেন আমাদের চারটি স্প্যান রেডি আছে কিন্তু বসাতে পারছে না। পানির গতির জন্য কাজ করতে পারে না, তাহলে পদ্মাসেতু করতে ২০ বছর লাগতো। আমরা গত চার বছর ধরেই ড্রোন ব্যবহার করছি। ড্রোন দিয়ে সার্ভে করে যা যা দরকার করছি। মাতারবাড়িতে ড্রেজিং করতে হবে, কোথায় পানির কত উচ্চতা, তাহলে তো বড় জাহাজ আসতে পারবে না। আবার যেমন- মহেশখালিতে কিছু করলো। এগুলোর জন্য মডার্ন টেকনোলজি হলো ড্রোন। এগুলোর জন্য বা আর্মির যে ড্রোন- এটা চতুর্থ (ঘ) শ্রেণির। এগুলোর জন্য অনুমতি লাগবে না।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিনোদন বা খেলার জন্য এবং সামরিক বা রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে ড্রোন ব্যবহারে অনুমতি লাগবে না। সিভিল অ্যাভিশেয়ন কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট করে দেবে কার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

অনুমতির পদ্ধতি নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অথরিটি এটি নির্ধারণ করবে যাতে সবার জন্য সুবিধা হয়। যেমন পঞ্চগড় থেকে যদি কেউ বাণিজ্যিকভাবে ড্রোন ব্যবহার করতে চায় তখন কী হবে- এটা অথরিটি ডিফাইন করে দেবে বা অনলাইনে ব্যবস্থা থাকবে।

ড্রোন কোথায় ওড়ানো যাবে বা যাবে না- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গ্রিন, রেড ও ইয়োলো জোন করে দেওয়া হয়েছে। খেলনা বা বিনোদনের জন্য ৫শ ফুটের বেশি যেতে পারবে না। বাকিগুলোকে অনুমতি নিতে হবে।

তিনি বলেন, রেড জোন টোটালি রেস্ট্রিকটেড জোন যেমন এয়ারপোর্ট, ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে, পদ্মাসেতুতে কাউকে ড্রোন ওড়াতে দেবে না। কারণ কি পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটরের (কেপিআই) ভিতরে ড্রোন ওড়াতে পারবে না। এখানে শুধু সিভিল অ্যাভিয়েশন দিলেই হবে না, কেপিআই অথরিটির কাছ থেকেও অনুমতি নিতে হবে। আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থা পদ্মার ওপর একটা ডকুমেন্টারি করবে, তখন সিভিল অ্যাভিয়েশন অনুমতি দিলেই হবে না, কেপিআই অথরিটি থেকেও অনুমতি লাগবে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *