April 19, 2024
জাতীয়লেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

৪ অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ

পূর্বাভাসকে সত্য পরিণত করে প্রকৃতি রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। দেশের ১৪টি অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ।

এরমধ্যে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে চারটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে। এই অবস্থায় দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলে, রাতের তাপমাত্রা বাড়ার আভাস রয়েছে

আবহাওয়া অফিস মাসের শুরুতেই বলেছিল এক থেকে দু’টি তীব্র তাপপ্রবাহের কথা। এবার গরমকাল শুরুর আগেই তিনটি তাপপ্রবাহ বয়ে গেলেও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি পেরোয়নি। কিন্তু চতুর্থ তাপপ্রবাহের শুরুতেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি দিয়ে শুরু হয়েছিল, যা মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রিতে দাঁড়ালো।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাতে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঈশ্বরদী, চুয়াডাঙ্গা ও কুমারখালীতে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পেরুলে সে অবস্থাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বর্তমানে পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ অবস্থান করছে উত্তর বঙ্গোপসাগরে।

এই অবস্থায় সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এদিকে রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, মোংলা, সাতক্ষীরা, যশোর ও রাঙ্গামাটি অঞ্চলসহ ঢাকা এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, সেটাও অব্যাহত থাকবে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময় ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার।

অন্যদিকে তাপপ্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে বাতাসে বেড়েছে জলীয়বাষ্পের পরিমাণও। ফলে গরমে হাঁসফাঁস করছে দেশবাসী। মঙ্গলবার বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল ৫৮ শতাংশ। পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাতের তাপমাত্রাও যদি বাড়ে তবে দেশবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠবে।

এমনিতে চলছে রমজান মাস। তার ওপর গরম অনুভূতি বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। ফলে রাজধানীসহ দেশের সর্বত্রই শরবত তৈরির উপরকরণের বিক্রি বেড়েছে। বেড়েছে দামও। উত্তরা, মিরপুর, কারওয়ানবাজারসহ বেশ কিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেদারছে বিক্রি হচ্ছে বেল, তরমুজ, পেঁপে।

ছোট সাইজের বেল প্রতি পিস ৪০, মাঝারি ৬০ থেকে ৮০ আর বড় সাইজের বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে। পেঁপে কেজি প্রতি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। তরমুজ ছোট সাইজের কেজি প্রতি ৩৫ থেকে ৪৫, বড় সাইজের ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন কোমল পানীয়র বিক্রিও বেড়েছে জানিয়েছেন দোকানিরা।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার (২১ এপ্রিল) নাগাদ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। তবে বর্ধিত পাঁচদিনে তাপমাত্রা আবারও বৃদ্ধি পেতে পারে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *