May 17, 2024
আন্তর্জাতিক

২৭৫ সেনা সদস্যকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিলো তুরস্ক

২০১৬ সালের একটি ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনা কেন্দ্র করে ২৭৫ জনকে আটক করার নির্দেশ দিয়েছে তুরস্ক, যাদের অধিকাংশই সামরিক বাহিনীর সদস্য।

মঙ্গলবার (৯ জুন) তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত মুসলমান নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের অনুসারীরা একটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা করেন। সেসময় এ ঘটনায় ২৫০ জনের মৃত্যু হয়।

তবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন গুলেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগানের সাবেক এ মিত্র ১৯৯৯ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসনে রয়েছেন।

এদিকে তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলের ইজমির শহরে অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ। ২২টি প্রদেশে এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৪৫ জন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ তথ্য জানায় দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদলু।

ধারণা করা হচ্ছে, পে-ফোনের মাধ্যমে গুলেনের অনুসারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন এসব সন্দেহভাজন। সামরিক স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রেও তারা বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকতে পারেন।

পৃথক এক অভিযানে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দিয়ারবাকির শহর থেকে ১৬ জন সেনা কর্মকর্তাকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ছয়জনকে কারাগারে পাঠান স্থানীয় আদালত এবং অন্য ১০ জনকে মুক্ত করে দেওয়া হয়।

ইস্তানবুল পুলিশ জানায়, একজন মেজর, তিনজন লেফটেন্যান্ট, চিকিৎসক, শিক্ষকসহ সামরিক বাহিনীর ৪৪ জন সদস্যকে আটক করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রসিকিউটররা। ইতোমধ্যে ৮টি প্রদেশে অভিযান চালিয়ে ৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এছাড়া, বিমান বাহিনীর ৩২ জন সন্দেহভাজনের মধ্যে ২৫ জনকে পৃথক এক অভিযানের মাধ্যমে আটক করেছে পুলিশ।

নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতেই তাদের আটক করা হচ্ছে বলে দাবি আঙ্কারার।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *