May 4, 2024
জাতীয়

২১ বছর পর সেন্ট মার্টিনে সীমান্ত বাহিনী প্রধান

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

সেন্ট মার্টিন দ্বীপে নতুন করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পর প্রথম বারের মত সেখানে পরিদর্শনে গেলেন বিজিবি মহাপরিচালক। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় হেলিকপ্টার যোগে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম সেখানে পৌঁছান।

ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে সেন্ট মার্টিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা উলে­খ করে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের একটি অংশ হিসেবে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। দ্বীপে যে জনবল রয়েছে তা সীমান্তের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট।

গত বছর থেকে দুই দফা মিয়ানমার তাদের সরকারি ওয়েবসাইটের মানচিত্রে সেন্ট মার্টিন তাদের অঞ্চল হিসেবে দেখায়। যার আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ করেছে বাংলাদেশ। কক্সবাজার সংলগ্ন প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন সৃষ্টি থেকে বর্তমান বাংদেশের ভূখণ্ডের অন্তর্গত। ব্রিটিশ শাসনাধীনে ১৯৩৭ সালে যখন বার্মা ও ভারত ভাগ হয়, তখন সেন্ট মার্টিন ভারতে পড়েছিল।

১৯৪৭ সালে ভারতে ভাগের সময় সেন্ট মার্টিন পাকিস্তানের অন্তর্ভূক্ত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে এটি বাংলাদেশে অন্তর্গত। ১৯৭৪ সালে সেন্ট মার্টিন দ্বীপপুঞ্জকে বাংলাদেশের ধরে নিয়েই মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা চুক্তি হয়। পরে সমুদ্র সীমা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে বিরোধ নিষ্পত্তিতেও সেন্ট মার্টিন বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে থাকে।

মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, বিজিবি সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি মাদক ও মানব পাচার রোধসহ অপরাধ দমনে কাজ করবে। সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পরিদর্শন শেষে এ বিজিবির মহাপরিচালক এ কথা বলেন।

বিজিবির রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান বলেন, ২১ বছর পর বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষাবাহিনীর কোন প্রধানের প্রথম সফর এটি। এর আগে দ্বীপটিতে বিজিবি সীমান্ত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকলেও কোস্টগার্ড নিয়োজিত করার পর বিজিবি সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছিল। গত ৭ এপ্রিল ২১ বছর পর বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

সেন্টমার্টিনের কোনার সংলগ্ন বিজিবির অস্থায়ী বিওপি পরিদর্শন করে বিওপিটির স্থায়ী কার্যালয় নির্মাণের জন্য নির্বাচিত জায়গা ঘুরে দেখেন এবং বিজিবির উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নতুন স্থাপনা নির্মাণ সংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন বলে বিজিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বিজিবি প্রধানের সফরের সময় উপস্থিত ছিলেন-বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদুর রহমান, রামু সেক্টর কমান্ডার মো. মঞ্জুরুল হাসান খান ও টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মো. ফয়সাল খানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বেলা ৩টার দিকে হেলিকপ্টার যোগে তিনি দ্বীপ ত্যাগ করেন।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *