২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক-বাবরের ফাঁসির দাবি
স্মরণ সভায় নগর আ’লীগ সভাপতি
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকার সময়ই প্রকাশ্যে চালানো হয়েছিল যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত মারণাস্ত্র আর্জেস গ্রেনেড দিয়ে ভয়াল ও বীভৎস হামলা। ওই সরকারের মন্ত্রী থেকে শুরু করে অনেকেই ওই নারকীয় হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল, তা তদন্তের মাধ্যমে জাতির সামনে আজ স্পষ্ট হয়ে গেছে। এই লোমহর্ষক গ্রেনেড হামলার ঘটনা ধামাচাপা, ভিন্ন খাতে প্রবাহিত ও আলামত নষ্টসহ হেন কোন কাজ নেই যা করেনি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। হাওয়া ভবনে বসে তখন জজ মিয়ার নাটক সাজানোর ঘটনা এখন দেশবাসীর মুখে মুখে। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে ২১ আগস্ট মামলা অধিকতর তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করলে মামলার কাজে গতি সঞ্চার হয়। নারকীয় এই গ্রেনেড হামলার ১৪ বছর পর ২০১৮ সালে ১০ অক্টোবর রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। আদালত রায়ে ১৯ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে ও অপর ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন।
তিনি আরও বলেন, লন্ডনে পালিয়ে থাকা সাজাপ্রাপ্ত আসামী তারেক রহমানকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। ১৯ জনের ফাঁসির রায় কার্যকরসহ তারেক ও বাবরকে ফাঁসি দিতে হবে। তা না হলে এরা দেশে বিদেশে বসে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করবে। তারা এখনও বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য একেরপর এক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের রাষ্ট্রীয় মদদে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডি এ বাবুল রানা, সহ-সভাপতি বেগ লিয়াকত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ও প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, সদর থানা আ’লীগের সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা আ’লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ^াস, কার্যনির্বাহী সদস্য এ্যাড. সরদার আনিছুর রহমান পপলু, নগর কৃষক লীগের আহবায়ক এ্যাড. একেএম শাহজাহান কচি, নগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. মোতালেব হোসেন, নগর যুবলীগের আহ্বায়ক সফিকুর রহমান পলাশ, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মীর বরকত আলী, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আসাদুজ্জামান রাসেল। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নগর আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, জেড এ মাহমুদ ডন, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, হাফেজ মো. শামীম, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, কাউন্সিলর শেখ মোশারফ হোসেন, মাহাবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, এস এম আনিছুর রহমান, মোশাররফ হোসেন, কাউন্সিলর মো. আনিছুর রহমান বিশ্বাষ, মনিরুজ্জামান খান খোকন, এ্যাড. আব্দুল লতিফ, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, কাউন্সিলর আমেনা হালিম বেবী, কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী, কাউন্সিলর মাহফুজুর রহমান লিটন, মুন্সি আইয়ুব আলী, শেখ আবিদ উল্লাহ, আব্দুল হাই পলাশ, বাবুল সরদার বাদল, মো. নুর ইসলাম, মো. জাহিদুল হক, ফেরদৌস হোসেন লাবু, এ্যাড মো. ফারুক হোসেনসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
স্মরণ সভার শুরুতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভা শেষে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মো. আব্দুর রহিম ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়