April 25, 2024
খেলাধুলা

২০১৪ সালে শেষবার, এবার পারবে সাকিবের কলকাতা?

আইপিএলের সবশেষ আসরটা একদমই ভালো কাটেনি কলকাতা নাইট রাইডার্সের। পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় ও চতুর্থ দলের সমান ১৪ পয়েন্ট পেলেও, নেট রানরেটের কারণে সেরা চারে যেতে পারেনি তারা। এর আগের আসরেও ছিল একই দশা, পঞ্চম হয়েই শেষ করতে হয়েছিল টুর্নামেন্ট।

তবে এর আগের তিন আসরেই সেরা উঠতে পেরেছিল দীনেশ কার্তিকের দল। যদিও শিরোপার স্বাদ মিলেছে সবশেষ ২০১৪ সালে। সেটি ছিল তাদের দ্বিতীয় শিরোপা। এর আগে ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয় কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)।

এরপর গত ছয় আসরে তিনবার সেরা চারে পৌঁছালেও শিরোপা জেতা হয়নি শাহরুখ খানের দলটির। কলকাতার দুই শিরোপা জয়ের সময়ই দলে ছিলেন বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এবার তিন মৌসুম বিরতি দিয়ে ফের কলকাতায় ফিরেছেন সাকিব।

কলকাতার এক ইন্সটাগ্রাম লাইভে সাকিব আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে জানিয়েছেন, এবার চ্যাম্পিয়ন হবেন তারাই। সেই মিশনে দলটিও এবার বেশ শক্তিশালী। ব্যাটিংয়ে আন্দ্রে রাসেল, ইয়ন মরগ্যান ও দীনেশ কার্তিকরা যেকোনো সময় বাড়াতে পারেন রানের গতি।

২০১৮ সালের পর থেকে ডেথ ওভারে কলকাতার রানরেট ১১.১৬, এর চেয়ে বেশি রয়েছে শুধুমাত্র মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের (১১.৪৯)। টপঅর্ডারে শুভমান গিল, নিতিশ রানা, সাকিব আল হাসানরা দেখেশুনে খেলার পর ফিনিশিংয়ের দায়িত্বটা বর্তাবে বিগ হিটারদের ওপরেই।

ব্যাটিংয়ে ব্যাকআপ হিসেবে রয়েছেন সুনিল নারিন, টিম সেইফার্ট, বেন কাটিং, ভেঙ্কটেশ আইয়ার, শেলডন জ্যাকসন, করুন নায়ার এবং গুরকিরাত সিং মানরা।

প্রথম তিন ম্যাচ চেন্নাইয়ের স্পিন ফ্রেন্ডলি উইকেটে খেলবে কলকাতা। সেক্ষেত্রে বোলিংয়ে সাকিব ও ভরুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। এছাড়া প্রাসিদ কৃষ্ণা ও আন্দ্রে রাসেলরা ভ্যারিয়েশন আনতে পারবেন আক্রমণে। পাশাপাশি লকি ফার্গুসন, প্যাট কামিনসরাও হতে পারেন তুরুপের তাস।

গ্রুপপর্বে চেন্নাইয়ে ৩, মুম্বাইয়ে ২, আহমেদাবাদে ৪ ও ব্যাঙ্গালুরুতে ৫ ম্যাচ খেলবে কলকাতা। একদম শেষদিকে ব্যাঙ্গালুরুতে হতে যাওয়া ম্যাচগুলো গুরুত্বপূর্ণ কলকাতার জন্য। সেখানের ছোট মাঠে বিগ হিটারদের দায়িত্ব নিতে হবে বড় সংগ্রহের জন্য।

কলকাতার সম্ভাব্য একাদশ: শুভমান গিল, রাহুল ত্রিপাঠি, নিতিশ রানা, সাকিব আল হাসান, ইয়ন মরগ্যান (অধিনায়ক), দীনেশ কার্তিক (উইকেটরক্ষক), আন্দ্রে রাসেল, প্যাট কামিনস, শিভাম মাভি, ভরুন চক্রবর্তী এবং প্রাসিদ কৃষ্ণা।

কোচিং স্টাফ: ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (হেড কোচ), অভিষেক নায়ার (সহকারী কোচ), কাইল মিলস (বোলিং কোচ), জেমস ফস্টার (ফিল্ডিং কোচ), ডেভিড হাসি (মেন্টর) এবং নাথান লিমন (স্ট্র্যাটেজিস্ট কনসালটেন্ট)।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *