November 28, 2024
আঞ্চলিকজাতীয়লেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

১৯ জুলাইয়ের মধ্যে বেতন-বোনাস দিতে শ্রম প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও ঈদুল আজহার বোনাস ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে পরিশোধ করতে মালিকদের আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। মঙ্গলবার রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সম্মেলনকক্ষে আরএমজি বিষয়ক ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ-টিসিসির সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
তবে মহামারী পরিস্থিতির মধ্যে ছুটির বিষয়টি মালিক-শ্রমিক আলোচনার ভিত্তিতে ঠিক করার পরামর্শ দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঈদের সরকারি ছুটির সাথে মিলিয়ে গার্মেন্টসসহ সব শিল্প সেক্টরের শ্রমিকদের বদলি ছুটি পাওনা থাকলে কারখানা পর্যায়ে মালিক-শ্রমিক সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
সভায় উপস্থিত মালিক প্রতিনিধিরা জানান, প্রায় শতভাগ কারখানার শ্রমিকদের গত জুন মাসের বেতন পরিশোধ হয়েছে। আর ছুটি দেওয়া হবে একই হিসাবের ভিত্তিতে। অর্থাৎ একই নিয়মে সর্বত্র ছুটি দেওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার ঈদে মানুষের যাতায়াত, কোরবানি কেনাবেচা নির্বিঘ্ন করতে ১৫ তারিখ থেকে ২২ তারিখ পযর্ন্ত কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। তাই বলে গাদাগাদি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করা ঠিক হবে না।
সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান বলেন, ছুটির বিষয়ে বাস্তবতার নিরিখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মালিকরা বেতন বোনাস দিয়ে দিবেন বলে আশা করছি।
মালিক পক্ষের প্রতিনিধি ও সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, শ্রমিকদের ছুটির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকতে হবে। একেক জায়গায় একেক সময় ছুটি দিলে শ্রমিকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়। একই টাইম লিমিটে গ্যাপ গ্যাপ করে ছুটি দিতে হবে। ছুটি দিয়ে শ্রমিকদের ঠেকানো যাবে না। তারা বাড়ি যাবেই। বেতন বোনাসের ক্ষেত্রে একই রকম সিদ্ধান্ত নিতে হবে। একই প্যারামিটার ঠিক করে সব কারখানায় বোনাস দিতে হবে।
শ্রমিক নেত্রী নাজমা আক্তার বলেন, মহামারীর এই ঝুঁকির মধ্যেও কারখানা খোলা রয়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের যাতায়াতের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। শ্রমিকের বাসা কারখানার কাছে- এমন একটি ভুয়া কথা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। অথচ লকডাউনের কারণে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য শ্রমদপ্তর বা কলকারখানার অধিদপ্তরের লোকজনকে পাওয়া যাচ্ছেনা। ফলে শ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, মহামারীর মধ্যেও রপ্তানি বাড়ছে, আয়ে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। কিন্তু এই ঝুঁকির মধ্যেও শ্রমিকরা কাজ করলেও তারা ঝুঁকি ভাতা পাচ্ছে না।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিল সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বলেন, এই বৈঠক আরও আগে হওয়া উচিত ছিল। আমাদের ইচ্ছে ছিল ১৫ তারিখের মধ্যে বেতন বোনাস পরিশোধ করার দাবি জানাব।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দীন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গৌতম কুমার, বাংলাদেশ এমপ্লোয়ার্স ফেডারেশন এর সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, বিকেএমইএর সিনিয়র সহ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান উপস্থিত ছিলেন।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *