May 18, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

১৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে বাড়ি দেবে সরকার

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ের সফল বাস্তবায়নের পর এবার দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রায় ১৫ হাজার বাসস্থান নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে আলোচনাকালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে সারা দেশে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২ হাজার ৯৬২টি বাসস্থান নির্মাণ ও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজে বাসস্থানের ডিজাইন সম্পন্ন করা হয়েছে এবং তা চূড়ান্ত অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপহার হিসেবে এসব বাড়ি দেওয়া হবে।

সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থান-স্থাপনা সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমানের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো সংস্কার ও সংরক্ষণের জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে দুটি প্রকল্প চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থানগুলো সংক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে ৩৬০টি ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণ ও স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত ২৮টি ঐতিহাসিক স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে, ১১৩টি স্থানে কাজ চলছে, ১১টি দরপত্র প্রক্রিয়াকরণের বিভিন্ন পর্যায়ে আছে, দুটির ডিজাইন/প্রাক্কলন করা হচ্ছে, ৩৪টির জমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে দরপত্র প্রক্রিয়াকরণ করা যাচ্ছে না এবং ১৭২টি উপজেলায় এখনো জমি পাওয়া যায়নি।

প্রতিটি ইউনিয়নে একটি নির্দিষ্ট স্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কবরস্থান নির্মাণের প্রস্তাবে মন্ত্রী জানান, দেশের সব মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একই ডিজাইনে কবর নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে একটি নির্দিষ্ট স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কবরস্থান নির্মাণ করা হবে। এ বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বিভিন্ন সময়ে সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অথবা যাচাই-বাছাই ছাড়াই অনেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এ যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলমান আছে, যা অচিরেই সম্পন্ন হবে।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *