April 19, 2024
জাতীয়

হাসপাতালে চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা যাতে হাসপাতালে বসেই প্রাইভেট প্রাকটিস করতে পারেন সেজন্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
সভার পর ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকারি হাসপাতালেই যাতে চিকিৎসকরা একটা উইং (শাখা) নিয়ে বসে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারেন সেভাবেই হাসপাতালের অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। আপনারা বারডেমে দেখছেন একটা উইং আছে, স্পেশালিস্ট ডাক্তাররা বসেন। আমরা কেন এটা করব না।”
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, চিকিৎসক ও রোগীরা বাইরে বাইরে দৌড়ায়। এখানেই (হাসপাতালে) তাদেরকে একটা সুন্দর জায়গা দিয়ে দেন। এখানেই তারা প্র্যাকটিস করুক। যাতে চিকিৎসকদের বাইরে যেতে না হয় এবং রোগীরাও সরকারি হাসপাতালেই সেবা পান। তাই প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালের ভেতরই চিকিৎসকদের জন্য আলাদা চেম্বার করে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।”
মন্ত্রী মান্নান বলেন, একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালে ডে-কেয়ার সেন্টার, কিডনি, হার্ট, ক্যান্সার ও পক্ষাঘাতগ্রস্তদের জন্য আলাদা আলাদা বøক তৈরি এবং রোগীরা যাতে আলো-বাতাস পায়, এমনভাবে হাসপাতালের অবকাঠামো তৈরিরও নির্দেশ দিয়েছেন।
হাসাপাতালগুলোতে ডে-কেয়ার সেন্টারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “কিছু কিছু নার্স বা সিস্টাররা আছেন, তাদের সন্তান থাকতে পারে। কিছু রোগী আছে, বাচ্চা কোলে নিয়ে আসে, এদের জন্য একটা ডে-কেয়ার সেন্টার করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
“কিডনি, হার্ট, ক্যান্সার ও পক্ষাঘাতগ্রস্তদের জন্য আলাদা আলাদা বøক ধীরে ধীরে তৈরি করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা কিন্তু রাতারাতি হবেনা। তবে করতে হবে এখন থেকে। এগুলোর করার জন্য উইশ করেছেন।”
এসময় তিনি সকল সরকারি হাসপাতালে আইসিও ব্যাবস্থা রাখার নির্দেশনাও দিয়েছেন বলে জানান মন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “হাসপাতালের যে ধরনের ডিজাইন, দেখলে মনে হয় বাসা বা ফ্ল্যাট। মানে একটা হোটেল হোটেল ভাব। প্লেইনে যারা ঢাকায় এসেছেন, তারা বলেছেন, বন্দর বন্দর মনে হয় ঢাকাকে। হাজার হাজার কন্টেইনার যেন ওপর থেকে মনে হয়।”
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটা পরিবর্তন করুন, ডিজাইনটা একটু সুন্দর করুন। খোলামেলা করুন। রোগীরা যাতে আলো-বাতাস পেতে পারে, সেই ব্যবস্থা করুন। প্রয়োজনে ব্যাংককে, চেন্নাইয়ে বাইরের দেশগুলোতে ভালো ভালো হাসপাতাল আছে, সেগুলো দেখে আসুন, তারা কীভাবে বিল্ডিংগুলো করছে, দেখুন।”

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *