May 3, 2024
আন্তর্জাতিক

হামলার আগে ৩ মাস ভারতে ছিলেন ক্রাইস্টচার্চের ঘাতক

২০১৯ সালের ১৫ মার্চ ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় নিউজিল্যান্ড। দেশটির ক্রাইস্টচার্চ শহরের দু’টি মসজিদে ভয়াবহ হামলার ঘটনায় নামাজরত ৫১ জন মুসল্লি নিহত হন। সম্প্রতি ওই হামলা সম্পর্কে বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারেন্ট নিজের দেশে হামলা চালানোর আগে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ভ্রমণ করেছেন। এর মধ্যে তিনি সবচেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছেন ভারতে।

ওই হামলার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর অন্যতম নিউজিল্যান্ড যেন বড় ধাক্কা খেয়েছিল। ওই অনাকাঙ্ক্ষিত সন্ত্রাসী হামলা পুরো দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। ব্রেন্টন ট্যারেন্টের বন্দুকের এলোপাথাড়ি গুলিতে বহু মানুষ আহত হয়।

রয়েল কমিশন অব ইনকোয়ারির ৭৯২ পাতার রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্কুল ছাড়ার পর ৩০ বছর বয়সী ওই হামলাকারী স্থানীয় একটি জিমের ব্যক্তিগত ট্রেনার হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০১২ সালে শরীরে চোট পাওয়ার আগে পর্যন্ত এটাই ছিল তার কাজ।

এরপর আর কোনও বাঁধাধরা চাকরি করেননি ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। বাবার কাছ থেকে নেওয়া অর্থ বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করে আয়ের পথ তৈরি করেন তিনি। ২০১৩ সালে তিনি প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ায় ভ্রমণ করেন। তার আগে ওই বছরই তিনি পুরো নিউজিল্যান্ড ঘুরে বেড়িয়েছেন। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বিশ্ব ভ্রমণে বের হন এই হামলাকারী।

ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০১৭ সালের ১৭ আগস্টের মধ্যে সব জায়গায় একাই ঘুরে বেরিয়েছেন ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। তবে এর ব্যতিক্রম ছিল উত্তর কোরিয়া। তিনি একটি টিমের সঙ্গে কিম জং উনের দেশে সফর করেছেন।

ক্রাইস্টচার্চে হামলার প্রায় ১৮ মাস পর প্রকাশিত এই রিপোর্টে জানা গেছে, ব্রেন্টন ট্যারেন্ট তিন মাস ভারতেই কাটিয়েছেন। ২০১৫ সালের ২১ নভেম্বর থেকে ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি ভারতে ছিলেন। এছাড়াও চীন, জাপান, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়াতেও ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। এক মাস বা তারও বেশি সময় ধরে তিনি এসব দেশে সফর করেছেন। তবে তিন মাসের ভ্রমণে তিনি ভারতের কোথায় কোথায় গেছেন বা কি করেছেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।

এদিকে, নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রাইস্টচার্চের এই হামলাকারী বিদেশে ঘোরার সময় চরমপন্থী কোনও সংগঠনের সঙ্গে দেখা করেছেন বা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এমন কোনও প্রমাণ তদন্তকারীরা পায়নি। এসব দেশে তিনি শুধুমাত্র ঘুরে-বেড়ানোর জন্য গিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *