April 25, 2024
খেলাধুলা

স্পেনের বিশ্বকাপ দলে আনসু ফাতি, নেই রামোস-ডি গিয়া

স্পেনের জার্সি গায়ে শেষ বিশ্বকাপটা খেলতে চেয়েছিলেন সার্জিও রামোস। কিন্তু স্পেন কোচ লুইস এনরিকে তাকে বিশ্বকাপের জন্য গঠিত ২৬ সদস্যের স্কোয়াডে বিবেচনাতেই আনেননি। বরং, ২০২০ সালের পর টানা ইনজুরিতে আক্রান্ত বার্সেলোনার তরুণ স্ট্রাইকার আনসু ফাতিকে রেখেই কাতার বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন স্পেন কোচ লুইস এনরিকে।

দলে জায়গা পাননি ম্যানইউ গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়াও। যাকে মনে করা হচ্ছিল বিশ্বকাপে স্পেনের হয়ে পোস্ট সামলানোর মূল দায়িত্ব পাবেন।

স্পেনের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ (১৮০টি) খেলার রেকর্ডধারী রামোস দেশের জার্সি গায়ে সর্বশেষ খেলেছেন ২০২১ সালের মার্চে। তবে পিএসজির হয়ে এই মৌসুমে ভালো করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন, যাতে বিশ্বকাপের দলে জায়গা পান। এর মধ্যে চলতি মৌসুমে পিএসজির হয়ে খেলেছেন ১২ ম্যাচ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ৬ ম্যাচের সবগুলোতেই ছিলেন সেরা একাদশে।

অন্যদিকে আনসু ফাতি ২০২০ সালের অক্টোবরের পর থেকে স্পেনের হয়ে আর খেলেননি। এ সময় হাঁটুর বড় ইনজুরিতে ১০ মাসের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে পড়েন। এরপর একের পর এক হ্যামস্ট্রিং এবং উরুর মাসলের ইনজুরিতে ভুগতে থাকেন স্পেনের হয়ে কনিষ্ঠতম গোলদাতা। যার ফলে এখনও পর্যন্ত মাঠে নামার মত পুরো ফিটনেস ফিরে পাননি ফাতি।

আনসু ফাতি ছাড়াও স্পেন দলের অন্যতম দুই তরুণ ফুটবলার ডাক পেয়েছেন, তারা হলেন ১৯ বছরের পেদ্রি এবং ১৮ বছরের গাবি।

রামোসের কথা জিজ্ঞাসা করা হলে কোচ এনরিকে বলেন, ‘আমি তালিকার (প্রাথমিক তালিকায় ছিল ৫৫ জন) বাইরে থাকা খেলোয়াড়দের কোনো মূল্যায়নই করিনি। তাদের দেখিওনি। আমার সময়টাতে যারা দলের হয়ে ভুমিকা রেখেছে এবং খেলেছে- তাদের সবাইকেই আমি বিবেচনায় এনেছি। এরপরই আমি সেখান থেকে সেরা ২৬জনকে বাছাই করে নিয়েছি। এখন গুরুত্বপূর্ণ হলো এই ২৬ জনের ওপরই আমার আস্থা রাখতে হবে।’

আনসু ফাতি সম্পর্কে এনরিকে বলেন, ‘আনসু ফাতি নিজেকে ফিরে পাওয়ার একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। ইনজুরিতে পড়ার আগে তো নিয়মিতই খেলার মধ্যে ছিলেন তিনি। এখন পুরোপুরি সুস্থ এবং ক্লাবের হয়েও খেলছে। তবুও আমরা তার পরিস্থিতি নিয়ে আরও আলোচনা করবো।’

জেরার্ড পিকেকে কেনো বিবেচনায় আনা হলো না? জানতে চাইলে এনরিকে বলেন, ‘জেরার্ড পিকে আমার প্রাথমিক তালিকায় ছিল। যখন তাকে ওই তালিকায় যুক্ত করেছিলাম, তখন সে ছিলো অ্যাকটিভ খেলোয়াড়। এখন তো অবসর ঘোষণা করে ফেলেছে। এ কারণে তাকে বিবেচনায় আনার প্রশ্নই নেই। যদিও সে ছিল পুরোপুরি কম্পিটিটিভ মেশিন।’

শুধু রামোসই নন, ম্যানইউ গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া, রিয়াল বেটিস ফরোয়ার্ড বোরজা ইগলেসিয়াস, ভিয়ারিয়েল স্ট্রাইকার জেরার্ড মোরেনোকেও বিশ্বকাপের জন্য বিবেচনায় আনেননি কোচ এনরিকে।

বিশ্বকাপে স্পেন দল

গোলরক্ষক: উনাই সিমোন, রবার্ট সানচেজ, ডেভিড রাইয়া

ডিফেন্ডার: সিজার আজপিলিকুয়েতা, দানি কার্ভাহল, এরিক গার্সিয়া, হুগো গুইয়ামন, পাউ তোরেস, আয়েমেরিক লাপোর্তে, জর্দি আলবা, হোসে গায়া।

মিডফিল্ডার: সার্জিও বুস্কেটস, রদ্রি, গাবি, কার্লোস সোলার, মার্কোস লরিয়েন্তে, পেদ্রি, কোকে রিসারেসিওন।

ফরোয়ার্ড: ফেরান তোরেস, নিকো উইলিয়ামস, ইয়েরেমি পিনো, আলভারো মোরাতা, মার্কো আসেনসিও, পাবলো সারাবিয়া, দানি ওলমো, আনসু ফাতি।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *