April 20, 2024
খেলাধুলা

‘স্পিরিট অব দা ক্রিকেট’ স্বীকৃতি পেয়ে বিস্মিত কোহলি

২০১৯ সালে আইসিসির ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কারে বিরাট কোহলির নাম অবাক করেছে অনেককেই। স্বয়ং কোহলিও বিস্মিত এই স্বীকৃতি পেয়ে, তবে সেটা তার প্রতি মানুষের অতীতের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে।

কোহলি স্বীকৃতিটি পেয়েছেন গত বিশ্বকাপের একটি ঘটনায়। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে বল টেম্পারিংয়ের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফেরা স্টিভেন স্মিথকে দুয়ো দিচ্ছিল দর্শকরা। তাদের বেশির ভাগই ছিল ভারতীয়। কোহলি তখন ছিলেন ব্যাটিংয়ে। সেখান থেকেই দর্শকদের দিকে ইশারা করেন, দুয়ো না দিয়ে স্মিথকে বরং অনুপ্রেরণা জোগাতে।

কোহলির সেই ঘটনা দারুণ প্রশংসিত হয়েছিল বটে। তবে অনেকেরই ধারণা ছিল, বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কার জিতবেন কেন উইলিয়ামসন কিংবা নিউ জিল্যান্ড দল। ফাইনালের বেশ কিছু বিতর্কিত মুহূর্ত গিয়েছিল নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। বিশেষ করে শেষ ওভারে রান নেওয়ার সময় মার্টিন গাপটিলের থ্রো বেন স্টোকসের ব্যাটে লেগে চার হয়ে যাওয়ায় মহামূল্য ৬টি রান পেয়ে যায় ইংল্যান্ড, ম্যাচের ফল নির্ধারণে যা রেখেছিল বড় ভূমিকা।

যদিও আইনের মধ্যেই ছিল সেটি, তারপরও নিউ জিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের আচরণ ছিল প্রশংসনীয়।

তবে আইসিসির অ্যাওয়ার্ডের বিচারকদের কাছে কোহলির ঘটনাই গুরুত্ব পেয়েছে বেশি। ভারতীয় অধিনায়ক যদিও সেটিকে স্বাভাবিক হওয়া উচিত বলেই মনে করছেন।

“আমি বিস্মিত যে আমি এটি পেয়েছি। বিশেষ করে এত বছর ধরে ভুল কারণে আতশ কাঁচের নীচে থাকার পর!”

“ওই মুহূর্তটি ছিল কেবল একজন মানুষের অবস্থা উপলব্ধি করতে পারার। আমার মনে হয় না, কেউ একজন অমন অবস্থা কাটিয়ে আসার পর তার দুর্বলতার সুযোগ নেওয়া উচিত। স্লেজিং হতে পারে, মাঠে কথার লড়াই হয়ই। কিন্তু দুয়ো দেওয়া কোনো খেলারই স্পিরিটের অংশ হতে পারে না। আমি এটিকে সমর্থন করতে পারি না।”

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *