স্ত্রী-শাশুড়িসহ ৪ জনকে কুপিয়ে হত্যার পর আত্মহত্যা
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় স্ত্রী, শাশুড়ি ও দুই প্রতিবেশীকে কুপিয়ে হত্যার পর এক ব্যক্তি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের পাল্লাথল চা বাগানে রবিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নির্মল নামে এক ব্যক্তি এ ঘটনা ঘটান বলে বড়লেখা থানার এএসআই রোকসানা বেগম জানান। নিহতরা হলেন- নির্মল কর্মকারের স্ত্রী জলি কর, শাশুড়ি ল²ী বোনার্জী, প্রতিবেশী বসন্ত বক্তা ও বসন্তের মেয়ে শিউলি বক্তা।
পাল্লারতল চা বাগানের এক কর্মকর্তা জানান, নির্মলের বাড়ি এই এলাকায় নয়। প্রায় এক বছর আগে জলির সঙ্গে বিয়ের পর থেকে তিনি এই এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে থাকছিলেন।
প্রতিবেশীরা জানান, ভোর ৫টার দিকে নির্মল ও জলির মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে জলিকে মারধর করতে থাকলে জলি দৌড়ে অন্য ঘরে বাবা মায়ের কাছে চলে যায়।
এ সময় নির্মল ধারালো অস্ত্র দিয়ে জলিকে কোপাতে থাকে। মেয়েকে রক্ষা করতে শাশুড়ি ছুটে গেলে নির্মল তাকেও কুপিয়ে জখম করে। এরপর বসন্ত ও শিউলি সেখানে গেলে নির্মল তাদেরও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে চারজনের মৃত্যু হলে নির্মল নিজের ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। নির্মল মাদকাসক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বাগানের টিলাবাবু আশীষ রঞ্জন কর বলেন, জলির আগের সংসারের মেয়ে চন্দনা বোনার্জী (১০) সকালে ছুটে এসে তার বাবা বাড়ির সবার উপর হামলা করেছেন বলে জনায়। তখন তারা সেখানে ছুটে গিয়ে তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেন।
বড়লেখা থানার এএসআই রোকসানা বেগম জানান, জলির আগে একবার বিয়ে হয়েছিল্। ওই সংসারের মেয়ে হল চন্দনা বোনার্জী। নির্মলের বাড়ি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে হলেও থাকতেন শ্বশুরের পরিবারের সঙ্গে। ঘটনার সময় তার শ্বশুর বিষ্ণু বোনার্জী বাড়িতে ছিলেন না।