সেমিফাইনালে ফ্রান্স
নাটকীয়তায় শেষ হলো কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই। যে লড়াইয়ে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শেষ দল হিসেবে বিশ্বকাপের শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচে সাউথগেটের দলকে ২-১ গোলে হারিয়েছে দিদিয়ে দেশমের দল।
কাতারের রাজধানী দোহারের আল বায়াত স্টেডিয়ামে ম্যাচটি মাঠে গড়ায় বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়। ম্যাচের প্রথম থেকেই দেখা যায় ফরাসিদের আধিপত্য। আর এতেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে গোল বের করে আনে দিদিয়ে দেশমের দল। ম্যাচের ১৭ তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে গোল করে দলকে প্রথমবারের মতো আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দেন রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার অহেলিয়া চুয়ামেনি।
তবে ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দলের লড়াই ছিল সমানে-সমান। চতুর্থ মিনিটে ভালো একটি সুযোগ তৈরি করে ইংল্যান্ড। তবে ফোডেনের জোরাল শট ফ্রান্স রক্ষণে প্রতিহত হয়। এরপরই ১৭তম মিনিটে দুর্দান্ত গোল করে দলকে লিড এনে দেন ফরাসি মিডফিল্ডার চুয়ামেনি। দূরপাল্লার জোরালো শটে ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ডকে পরাস্ত করেন এই রিয়াল ফুটবলার।
এক গোল হজমের পর আক্রমণের গতি বাড়ায় ইংল্যান্ড। তবে ফরাসি রক্ষণে বারবার বাঁধা পায় ইংলিশদের সব চেষ্টা। সবশেষ আর কোনো দল গোল করতে না পারায় এক গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় দিদিয়ে দেশমের ফ্রান্স।
বিরতি থেকে ফিরে দুই দলই আক্রমণের গতি বাড়ায়। যার ফলও পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। গতিময় ফুটবল খেলে ম্যাচের ৫৪ তম মিনিটে ফরাসিদের থেকে পেনাল্টি আদায় করে নেয় দলটি। স্পট কিক থেকে নেওয়া দারুণ শটে দলকে সমতায় ফেরান হ্যারি কেইন। এই গোল করেই দেশের ইতিহাসে রেকর্ড গোলদাতা ওয়েইন রুনির পাশে নাম লেখিয়েছেন কেইন। দুইজনেরই গোল সংখ্যা ৫৩টি।
ম্যাচে সমতায় ফিরে আক্রমণের ধার বাড়ায় ইংল্যান্ড। তবে দলটির প্রবল চাপের মধ্যেই ৭৮তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন অলিভার জিরুদ। এরপর বেশ কয়েকবার ভালো সুযোগ তৈরি করেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি ইংল্যান্ড। ৮০তম মিনিটে পেনাল্টি পেয়েও তা মিস করে দলের হার নিশ্চিত করেন কেইন। সবশেষ ২-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবশেষ টানা দুইবার ট্রফি জিতেছে ব্রাজিল। ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালে। এবার ৬০ বছর পর সেই রেকর্ডে ভাগ বসানোর সুযোগ ফ্রান্সের সামনে। সেই লক্ষ্যে আগামী বুধবার উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোর মুখোমুখি হবে দিদিয়ে দেশমের দল।