সেনাবাহিনীর নির্যাতনে মিয়ানমারে কবির মৃত্যু, কেটে নিলো অঙ্গপ্রতঙ্গ!
জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার অভিযোগে মিয়ানমারের এক কবিকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে দেশটি সেনাবাহিনী।
মৃত কবির মরদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার আগে তার শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ তুলে নেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মোট ৩ জন কবিকে হত্যা করা হলো।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।
দেশটির কেন্দ্রীয় শহর শোয়েবো থেকে কবিসহ ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় সেনাবাহিনী। তাদের মধ্যে একজনকে ছেড়ে দিলেও হত্যা করা হয় ওই কবিকে। অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভের কেন্দ্রভূমি বলা হয় এই শহরকে। কবিতার মধ্য দিয়ে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে নির্যাতনের কারণেই খেত থির মৃত্যু হয়েছে। পেশাগতভাবে তিনি একজন প্রকৌশলী ছিলেন। কিন্তু কবিতায় মনোযোগ দিতে ২০১২ সালে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন।
তবে, তার মৃত্যু নিয়ে জান্তা সরকারের মুখপাত্রের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার ফেসবুক পেজের তথ্যানুসারে খেত থির বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। তিনি লিখেছেন, ‘তারা মাথায় গুলি করে, কিন্তু তারা জানে না বিপ্লব থাকে হৃদয়ে। ’
তিনি জানান, আমাকে তারা জেরা করেছে। তারা বলেছেন, কবিকে জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। কিন্তু তিনি ফিরে আসেননি, তার মরদেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চো সু আরও বলেন, আমাকে তারা সকালে ফোন দিয়ে মনিয়ায়োতে হাসপাতালে দেখা করতে বলেছিল। আমি ভেবেছিলাম, তার হাত ভাঙা কিংবা অন্যকিছু। কিন্তু আমি যখন হাসপাতালে পৌঁছায়ই, তখন তার লাশ মর্গে। তার অভ্যন্তরীণ অঙ্গ তুলে নেওয়া হয়েছে।
অভ্যুত্থানের এক সপ্তাহ পর তিনি লেখেন, আমি কোনো নায়ক হতে চাই না, আমি শহীদ হতে চাই। আমি ভীরু হতে চাই না, বোকা হতে চাই না।