April 25, 2024
জাতীয়

সুরক্ষাসামগ্রী সরবরাহের নামে নেওয়া হচ্ছিল ডাক্তারদের খেজুর

কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সড়কে যান চলাচল তুলনামূলক বেড়েছে। জরুরি প্রয়োজনের পাশাপাশি বিভিন্ন অজুহাতে অনেককেই বাইরে বের হতে দেখা যাচ্ছে।

যারা বের হচ্ছেন তাদের সড়কে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে বিভিন্ন চেকপোস্টে। সদুত্তর না মিললে জরিমানাও গুনতে হয়েছে তাদের।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসুর নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে মোট ১১ জনকে ৬ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, শাহবাগ মোড়ে ‘জরুরি হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন ও সরবরাহ কাজে নিয়োজিত’ স্টিকার লাগানো একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির গাড়ি আটকান র‌্যাব সদস্যরা। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাড়ির গ্লাস নামাতে বলতে দেখেন ভেতরে কিছু কার্টন। কার্টন কীসের জিজ্ঞাসা করতেই চালকের উত্তর, এগুলো খেজুরের বক্স, ডাক্তারদের গিফট করার জন্য কোম্পানি থেকে পাঠানো হয়েছে।

জরুরি সেবার স্টিকার লাগিয়ে এ ধরনের কাজ করায় জাহাঙ্গির নামের ওই চালককে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শাহবাগ থেকে হাতিরপুলের দিকে রিকশায় রওনা দিয়েছেন কাস্টমসের কর্মকর্তা মানু মন্ডল। অথচ তিনি মাস্ক খুলে মোবাইলে কথা বলছিলেন। মাস্ক খুলে কথা বলার কারণ জিজ্ঞাসা করতেই ওই ব্যক্তির সরল স্বীকারোক্তি, ‘আমার ভুল হয়েছে, আমাকে জরিমানা করেন। ’ পরে ওই কাস্টমস কর্মকর্তাকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

এদিকে, মোটরসাইকেলে করে মেয়েদের পোশাক ওড়না ডেলিভারি করতে বেরিয়েছেন অনলাইন ব্যবসায়ী আওলাদ। কাজটি জরুরি না হওয়ায় তাকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ১৮টি নির্দেশনা ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কঠোর নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে অভিযান পরিচালনা করছি। অনেকেই সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তুলনামূলক কম প্রয়োজনে বাইরে বের হচ্ছেন। তাদের দণ্ডবিধি ২৭৯ ধারা অনুযায়ী জরিমানা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *