সুন্দরবনে বিপুল পরিমাণ মাছসহ দুইটি নৌকা জব্দ আটকের পর দুই দুর্বৃত্তকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
সুন্দরবনের অভয়ারন্যের মৎস্য প্রজনন খালে কীটনাশক প্রয়োগে আহরিত বিভিন্ন প্রজাতির বিপুল পরিমান মাছ সহ দুইটি নৌকা জব্দ করেছে বনবিভাগ। এ সময় দূর্বৃত্ত চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হলেও সমঝতার মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার ভোররাতে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সূর্যমুখী খাল থেকে মাছ নৌকাসহ ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছিল। সুন্দরবনের ঘাগড়ামারীর বনরক্ষীরা সুর্যমুখী খালে টহলকালে লোকালয়ের দিকে আসা দুটি নৌকা চ্যালেঞ্জ করলে ৫/৬ জন লোক নদীতে ঝাপ দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় দুর্বৃত্ত চক্রের দু’ সদস্য আটক এবং তাদের নৌকায় তল্লাশী চালিয়ে বিষ প্রয়োগে আহরিত দু’ড্রাম ভর্তি বিপুল পরিমান বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, বনবিভাগের দেয়া দুটি পাস সহ ব্যবহৃত মালামাল জব্দ করে বনরক্ষীরা। রাতেই আটকৃত মজিবর ও দোলেয়ার হোসেনকে ঘাগড়ামারী টহল ফাঁড়িতে আটকে রাখার কয়েক ঘন্টা পর দু’জনকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষ প্রয়োগকারী চক্রের ওই দুই সদস্যকে ছেড়ে দেয়ায় জেলে সহ ঢাংমারী গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয় ঢাংমারী ষ্টেশনের আওতাধীন ঘাগড়ামারী টহল ফাঁড়ির কর্মকর্তা আব্দুর রব জানান, বনরক্ষীদের দেখে নদীতে ঝাপ দিয়ে নৌকায় থাকা ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়। আর তাদের নৌকায় তল্লাশী চালিয়ে জব্দ করা মাছ মাটিতে ডাম্বিং করা হয়েছে। দুটি নৌকায় মজিবর ও দোলেয়ার হোসেন নামে দু’জনের বৈধ পাস পারমিট উদ্ধার হওয়ার কথা স্বীকার করলেও কেউ আটক হয়নি বলে জানান তিনি।
এ বনকর্মকর্তা আরও বলেন, মজিবর নামের যে ব্যক্তির পাস পারমিট উদ্ধার হয়েছে তার এক সহোদর বনবিভাগের ওই টহল ফাঁড়িতে কর্মরত রয়েছেন। এ কারনে ষ্টেশন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের নির্দেশনায় আটককৃত দু’জনকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় জেলেরা। এ বিষয় ষ্টেশন কর্মকর্তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নৌকাসহ বিষ প্রয়োগে আহরিত মাছ জব্দ করেছে বনরক্ষীরা। তবে এ ঘটনায় কেউ আটক হওয়ার কথা অস্বীকার করেন।