সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ আগের বছরের চেয়ে ৫৫ শতাংশ বেড়েছে
সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ আগের বছরের চেয়ে ৫৫ শতাংশ বেড়েছে। দেশটির ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ’য়। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা।
সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (এসএনবি) বার্ষিক প্রতিবেদন এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ ছিল ৫৬ কোটি ৩০ লাখ সুইস ফ্রাঁ। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৫ হাজার ২০৩ কোটি টাকা।
‘ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড-২০২১’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, তিন বছর ধারাবাহিক হ্রাসের পর ২০২১ সালে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণের বড় ধরনের উল্লম্ফন হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ জমানোর পরিমাণ কমে আসে।
২০১৮ সাল সুইস ব্যাংকে ৬১ কোটি ৭৭ লাখ সুইস ফ্রাঁ জমা করেছিলেন বাংলাদেশীরা। ২০১৯ সালে তা নেমে ৬০ কোটি ৩০ লাখে দাঁড়ায়, পরে বছর জমানো অর্থের পরিমাণ হ্রাস পায় আরও ৪ কোটি ফ্রাঁ। সর্বশেষ ২০২১ সালে এই অর্থের পরিমাণ প্রায় ৫৫ শতাংশ বেড়ে এক লাফে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁতে ওঠেছে।
যদিও এসএনবি প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে অর্থ পাচার সংশ্লিষ্ট কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। এমনকি প্রকাশ করা হয়নি কোন ব্যক্তি কত অর্থ জমা করেছেন। অর্থ জমাকারী সম্পর্কে কোন তথ্য কখনই প্রকাশ করে না এসএনবি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী একক দেশ হিসেবে সুইস ব্যাংকে যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জমা অর্থের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এর পরের অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ক্যারিবিয় দ্বীপ রাষ্ট্র ওয়েস্ট ইন্ডিজ রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। এসএনবি প্রকাশিত তালিকায় এর পরে রয়েছে যথাক্রমে ফ্রান্স, হংকং, জার্মানি, সিঙ্গাপুর ও লুক্সেমবুর্গ।
গোপনে অর্থ গচ্ছিত রাখার জন্য খ্যাতি রয়েছে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোর। গ্রাহকদের তথ্য প্রকাশ করতে বাধ্যবাধকতা না থাকায় সারা বিশ্বের ধনীদের অর্থ জমানোর জনপ্রিয় উৎস হয়ে ওঠেছে এটি। গ্রাহকদের জমানো অর্থের উৎসও তারা জানতে চায় না তারা।