সিলেটকে হারিয়ে বিপিএল শুরু চট্টগ্রামের
ক্রীড়া ডেস্ক
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স আর সিলেট থান্ডারের ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে সপ্তম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) বা বঙ্গবন্ধু বিপিএল। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে সিলেটকে ৫ উইকেটে হারিয়ে আসর শুরু করলো বন্দরনগরীর দল চট্টগ্রাম।
গতকাল বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দু’দল। যেখানে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক রায়াদ এমরিট। নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউলাহর ইনজুরিতে এ ম্যাচে চট্টগ্রামের নেতৃত্ব দেন ক্যারিবীয় তারকা এমরিট। আর সিলেটের আর্মব্যান্ড নিয়ে দলপতির ভূমিকায় ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
ছবি: শোয়েব মিথুনমোহাম্মদ মিঠুনের ঝড়ো হাফসেঞ্চুরির সুবাদে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রানের ভালো সংগ্রহ পায় সিলেট থান্ডার। জবাবে, ১৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে চট্টগ্রাম।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি সিলেটের। দলীয় মাত্র ৫ রানে বিদায় নেন দলটির ওপেনার রনি তালুকদার। রুবেল হোসেনের বলে ব্যক্তিগত ৫ রানে আউট হন তিনি। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জনসন চার্লসের সঙ্গে ৪৬ রানের পারর্টনারশিপ গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন মিঠুন। ৩০ বলে হাফসেঞ্চুরি করার পর দলের মোট রানে দারুণ ভূমিকা রাখেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান মিঠুন।
এই জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। চার্লসকে ব্যক্তিগত ৩৫ রানে বোল্ড করেন তিনি। ২৩ বলে ৭টি চারে নিজের ইনিংস সাজান এই উইন্ডিজ তারকা। এরপর দ্রুতই ফিরে যান জীবন মেন্ডিস।
ছবি: শোয়েব মিথুনকিন্তু উইকেটের একপাশ ঠিকই আগলে রাখেন মিঠুন। চারে নামা অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে গড়েন দারুণ আরেকটি জুটি। তাদের দু’জনের ব্যাট থেকে আসে ৯৬ রান। তবে এই জুটিতে মিঠুনেরই সিংহভাগ অবদান। ইনিংসের শেষ ওভারে এমরিটের বলে আউট হওয়ার আগে ৩৫ বলে ২৯ করেন মোসাদ্দেক।
তবে আগধারণ ব্যাটিং করা মিঠুন অপরাজিতই থেকে যান। শেষ পর্যন্ত তিনি ৪৮ বলে ৮৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেই মাঠ ছাড়েন। তার ব্যাট থেকে ৪টি চার ও ৫টি ছক্কা এসেছে। চট্টগ্রামের পেসার রুবেল হোসেন সর্বোচ্চ দুটি উইকেট পান। এছাড়া নাসুম ও এমরিট একটি করে উইকেট ভাগ করে নেন।
১৬৩ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২০ রানের মাথায় বিদায় নেন চট্টগ্রামের ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দীকি (৪)। তিন নম্বরে নামা নাসির হোসেনও (০) ব্যর্থতা দিয়ে শুরু করলেন এবারের আসর। ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দো রানের গতি ঠিক রাখতে ২৬ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় করেন ৩৩ রান।
৮.৪ ওভারে ৮৬ রানের জুটি গড়েন চ্যাডউইক ওয়ালটন এবং ইমরুল কায়েস। এবাদত হোসের বলে আউট হওয়ার আগে ইমরুল খেলেন ম্যাচ জেতানো ইনিংস। ৩৮ বলে দুটি চার আর ৫টি ছক্কায় করেন ৬১ রান। মাঝে রায়ান বার্ল ৩ রানে বিদায় নেন।
ওয়ালটন ৩০ বলে তিনটি চার আর দুটি ছক্কায় করেন অপরাজিত ৪৯ রান, নুরুল হাসান সোহান অপরাজিত থাকেন ৫ রানে। সিলেটের নামজুল ইসলাম দুটি, ক্রিসমার সান্তোকি একটি, এবাদত হোসেন একটি আর মোসাদ্দেক হোসেন একটি করে উইকেট তুলে নেন।