সাহেদের অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের তথ্য মেলেনি: ডিবি
রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের উত্তরা গোপন কার্যালয় থেকে উদ্ধার হওয়া অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে এখনও কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
বুধবার (২২ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপির গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আব্দুল বাতেন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সাহেদ করিম ডিবি হেফাজতে পাঁচদিনের রিমান্ডে রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উত্তরা-১১ নম্বর সেক্টরের ২০ নম্বর রোডের ৬২ নম্বর বাসা থেকে ব্যক্তিগত গাড়ি জব্দ করা হয়।
সেখান থেকে তার অবৈধ অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। তবে তিনি এই অবৈধ অস্ত্র দিয়ে কখনও কাউকে ভয়-ভীতি দেখানো বা ব্যবহার করেছেন কি-না সেটি আমরা এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য পাইনি।
এছাড়াও জব্দ অস্ত্র ও মাদকের বিষয়ে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
সাহেদের কাছে কয়েকটি বৈধ অস্ত্র ছিলো তবে, কেন তিনি অবৈধ অস্ত্র রেখেছিলেন? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্যেই মানুষ বৈধ অস্ত্র রাখেন। অনেকেই আছেন যারা বৈধ অস্ত্রের পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্রও রাখেন। অপরাধ সংগঠনের সময় অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে এবং প্রদর্শনের ক্ষেত্রে বৈধ অস্ত্র রাখে। এতে অপরাধের প্রমাণ থাকে না। কারণ বৈধ অস্ত্র ব্যবহারে জবাবদিহিতা রয়েছে।
মাদক উদ্ধার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার কাছ থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। হয়তো তিনি মাদক সেবন করতেন। তবে মাদককারবারি ছিলেন কি-না সে বিষয়ে আমরা কোনো তথ্য পাইনি।
আব্দুল বাতেন বলেন, জালিয়াতির বিষয়ে সাহেদের বিরুদ্ধে করা মামলাটি র্যাব তদন্ত করবে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২১ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি আদেশ জারি হয়েছে। আজই র্যাব সাহেদের মামলা বুঝে নেবে। কারণ র্যাব ঘটনার শুরু থেকে সাহেদ করিমকে গ্রেফতার পর্যন্ত প্রাথমিক সব তদন্ত করেছে, তাই মামলাটি তদন্ত র্যাবকে দেওয়ার বিষয়টি আমরা আগেই জানতাম। তবে সাহেদের বিরুদ্ধে করা অস্ত্র ও মাদক মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত করবে। ইতোমধ্যে দুইজন সাক্ষী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। আশা করি, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে অস্ত্র মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন থানায় সাহেদের বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে। সেগুলো সংশ্লিষ্ট থানা তদন্ত করবে। ডিএমপিতে এ পর্যন্ত ২০টির মতো মামলা রয়েছে, এগুলোর মধ্যে কিছু আমরা (ডিবি) আর কিছু সংশ্লিষ্ট থানা তদন্ত করবে।
সাহেদের মামলা ডিবিতে হস্তান্তরের পর আমরা তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তার বিষয়ে যেসব অভিযোগ রয়েছে সেগুলো আমরা তদন্ত করছি।