April 19, 2024
জাতীয়

সার্টিফিকেট বাণিজ্য বন্ধে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মনিটরিং : শিক্ষামন্ত্রী

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

শিক্ষার গুণগতমান বজায় রাখার স্বার্থে ও সার্টিফিকেট বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরীর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন। এ প্রপ্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে। এদের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় আদালতের রায় অনুযায়ী সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি প্রোগ্রামের জন্য মোট ক্রেডিট আওয়ারস ও সেমিস্টার পূর্ব থেকে নির্ধারণ করার মাধ্যমে প্রতিটি প্রোগ্রামে নির্দিষ্ট সংখ্যক আসনের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করায় শিক্ষার নামে সার্টিফিকেট বাণিজ্য বহুলাংশে বন্ধ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কতিপয় আগধু চক্রের যোগসাজসে পরিচালিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ করা হয়েছে এবং অননুমোদিত ক্যাম্পাসগুলো বন্ধের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। দূরশিক্ষণে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধ করা হয়েছে। প্রত্যেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ গুণগতমান নিশ্চিতকরণ সেল/ইউনিট গঠন করা হয়েছে। শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের জ্ঞাতার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে সময় সময় জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড রাখা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর অপর প্রশ্নের লিখিত জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বর্তমানে ছাত্র/ছাত্রীর অনুপাত ১ঃ ১ দশমিক ১৮। গ্রামকে শহরের ন্যায় গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে কলেজ জাতীয়করণ করেছে। এতে গ্রামের শিক্ষার্থীরাও শহরের মতো পড়াশোনার সুযোগ-সুবিধা পাবে।

তিনি বলেন, নারী প্রগতির ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে ধর্ষণ, নিগ্রহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে চলার পথে নিরাপত্তাহীনতা, সাইবার ক্রাইম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নামধারীদের হাতে ছাত্রী নিগ্রহ এসবের যথাযথ প্রতিকার ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে ডা. দীপু মনি বলেন, বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উত্তরণে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। দেশের এমপিওভুক্ত প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা প্রক্রিয়াকরণ অনলাইনে করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি কলেজে আইসিটি শিক্ষকের ২৫৫টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে এবং ৩৮তম বিসিএসের মাধ্যমে এ পদগুলো পূরণ করা হবে।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *