সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান প্রতিরোধে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের গুরুত্ব সর্বাধিক : সুলতানা কামাল
খবর বিজ্ঞপ্তি
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি খুলনা জেলা শাখার উদ্যোগে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় কবি, লেখিকা ও আধুনিক বাংলাদেশের নারী প্রগতি আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব বেগম সুফিয়া কামালের ১১০তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘সমকালীন সাম্প্রদায়িকতা ও সুফিয়া কামালের নারী মুক্তি চিন্তা’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়।
নির্মূল কমিটি খুলনা জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে বক্তৃতা করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও কবি সুফিয়া কামালের কন্যা এ্যাড. সুলতানা কামাল, নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আমজাদ হোসেন, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রশীদ (অবঃ), কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সমাজকর্মী কাজী মুকুল, কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ, আইটি সেলের সভাপতি শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময় ও খুলনা জেলার সহ-সভাপতি সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দী, জাসদ খুলনা নগরের সভাপতি খালিদ হোসেন, নির্মূল কমিটির ডুমুরিয়া শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ এমবিএম শফিকুল ইসলাম, প্রজন্ম-৭১ এর মফিদুল ইসলাম টুটুল, শরিফুল ইসলাম সেলিম, মোংলা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নূর আলম প্রমুখ। ওয়েবিনার সঞ্চালনা করেন নির্মূল কমিটি খুলনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক মহেন্দ্র নাথ সেন।
এসময় এ্যাড. সুলতানা কামাল বলেন, ’৪৭-এর পূর্বে ও পরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সাহসিকতার সঙ্গে যুক্ত থেকে কবি সুফিয়া কামাল বিভিন্ন দল গঠন করেছিলেন এবং দাঙ্গা প্রতিরোধে গুরুত্বপ্রূর্ণ অবদান রেখেছেন। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে অনেক নারী নেত্রীসহ বিভিন্ন স্তরের, বিভিন্ন ধর্মের এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ তাঁকে কেন্দ্র করে সংগঠিত হয়েছেন। যার ফলে বিভিন্ন সংগঠন গড়ে উঠেছে এবং একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার দর্শন তৈরি হয়েছে।
সুলতানা কামাল বলেন, কবি সুফিয়া কামাল অসাম্প্রদায়িক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার আন্দোলন করেছেন। তিনি তাঁর জীবনের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা দূর করে নিদর্শন তৈরি করে নারী সমাজকে সামাজিক বৈষম্য প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। বর্তমান সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান প্রতিরোধে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের গুরুত্ব সর্বাধিক।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়