April 20, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

সামনের দিনগুলোতে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে

দ. প্রতিবেদক
প্রান্তিক জনগণের মাঝে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যাংক ও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা স্থাপন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় এবং সচেতনতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত সভা শনিবার দুপুরে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মোঃ কামাল হোসেন এতে প্রধান অতিথি ছিলেন।
প্রধান অতিথি মোঃ কামাল হোসেন বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ দ্বিতীয় ধাক্কা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ধাক্কা মোকাবেলায় সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ইতোমধ্যে মাস্ক পরিধান বাধত্যামূলক করেছে। সকলের মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। মোবাইল কোর্ট দিয়ে সবকিছু করা সম্ভব নয়। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সকলের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। সামনের দিনগুলোতে করোনা আরো খারাপের দিকে যেতে পারে। এজন্য জনসচেতনতা কোন বিকল্প নেই। সরকারের সবকিছু একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি নিদের্শনা প্রতিপালনে সচিব সকলের প্রতি আহবান জানান।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পর্যায়ক্রমে খুলনার অন্যান্য উপজেলাতেও অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যাংক ও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা স্থাপন করা হবে।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ডাঃ মোঃ শামসুল হক, দাকোপ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মুনসুর আলী খান, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাইদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ^াস, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গৌরপদ বাছাড়, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মোজাম্মেল হক নিজামী প্রমুখ। এসময় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, স্থানীয় জনগণ ও ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মোঃ কামাল হোসেন উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স-এ ২০ বেডের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যাংক ও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা স্থাপন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৪০ লাখ টাকা এবং ডিসেম্বরের মধ্যে এর কাজ শেষ হবে।
পরে তিনি দাকোপ উপজেলার তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুনিয়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য গৃহ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। এতে ৬৫ টি পরিবার বসবাস করতে পারবে এবং প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হবে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। ডিসেম্বরের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *