May 6, 2024
আঞ্চলিক

সাতক্ষীরায় কাঁঠাল উৎপাদন লক্ষ্য ১১ হাজার টন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরাতে আমের পাশাপাশি কাঁঠাল উৎপাদন হয় উল্লেখযোগ্য। এ জেলার কাঁঠাল অত্যন্ত সুস্বাধু বলে খ্যাতি রয়েছে। স্থানীয় তিন থেকে চার প্রজাতির কাঁঠাল উৎপাদন হয়ে থাকে এ জেলায়। এরমধ্যে খাজা, রসালো, হাজারী ও আধরসা।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলাতে কাঁঠাল উৎপাদন লক্ষ্য ধরা হয়েছে ১১ হাজার মেট্রিকটন। এরমধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলাতে ৩ হাজার ৬০০ টন, কলারোয়ায় ১ হাজার ৩০০ টন, তালায় ৯৫০ টন, দেবহাটায় ২৫০ টন, কালিগঞ্জে ৩ হাজার ৯০০ টন, আশাশুনিতে ৫৫০ টন ও শ্যামনগর উপজেলাতে ৫০০ টন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি কাঁঠাল উৎপাদন হয় সাতক্ষীরা সদর ও কালিগঞ্জ উপজেলায়।

এই উৎপাদন লক্ষ্য সামনে নিয়ে এবার জেলায় ১ হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে কাঁঠাল বাগান হয়েছে। এরমধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৪৮০ হেক্টর, কলারোয়ায় ১৩৫ হেক্টর, তালায় ৯০ হেক্টর, দেবহাটায় ৫৫ হেক্টর, কালিগঞ্জে ৪১০ হেক্টর, আশাশুনিতে ৬৫ হেক্টর ও শ্যামনগওে ৩০। তবে গত বারের তুলনায় চলতি বছর ২৩৫ হেক্টর বেশি পরিমান কাঁঠাল উৎপাদন হচ্ছে বলে জানান সুত্রটি। সুত্রটি আরো জানায়, গেল বছর জেলায় ১ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে কাঁঠাল উৎপাদন হয়ে ছিলো।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাবুলিয়া গ্রামের মিজানুর রহমান জানান, প্রায় ৪ বিঘা পরিমান জমিতে আম ও কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফলের বাগান রয়েছে। এ ফলের বাগানে ৩০ থেকে ৩৫ কাঁঠাল গাছ আছে। একাকটা গাছের বয়স ২৮ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত। তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে তার বাগানের প্রত্যেক গাছে ব্যাপক কাঁঠাল ধরেছে। ইতি মধ্যে এলাকার মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীরা তার বাগান কেনার জন্য আসছে। তিনি বলেন, গত বছর ৮০ হাজার টাকায় তার কাঁঠাল বাগান  বিক্রি করেন। তবে এবার ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা বিক্রি হতে পারে বলে জানান মিজানুর রহমান ।

জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা গ্রামের এজাহার আলী জানান, ৩ তিন বিঘা জমির বসতবাড়ীতে বিভিন্ন ফলের পাশাপাশি ২৫ টি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। চলতি মৌসুমে অধিকাংশ গাছে কাঁঠালের ফলন এসেছে। তিনি বলেন, পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও প্রতি বছর ৫০ থেকে ৬০ হাজার কাঁঠাল বিক্রি করা হয়।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ অরবিন্দ বিশ^াস জানান, মৌসুমী ফলের মধ্যে কাঁঠাল একটি লাভজনক ও অর্থকরী ফসল। এটি বসত বাড়ীর সাথে রোপন করলে কয়েক বছরের মধ্যে তাতে ফল দেয়। তাছাড়া ফল হিসেবে কাঁঠাল খুবই উপকারী স্বাস্থ্যের জন্য। তিনি সাতক্ষীরা জেলার সকল উপজেলাতেই কাঁঠাল উৎপাদন কম বেশি। তবে গত মৌসুমের তুলনায় এবার জেলায় কিছুটা উৎপাদন বেশি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *