সাতক্ষীরার পলাতক যুদ্ধাপরাধী জহিরুলের মৃত্যু হল ভারতে
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলায় অভিযুক্ত সাতক্ষীরার পলাতক আসামি জহিরুল ইসলাম ওরফে টিক্কা খান ভারতে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। সাতক্ষীরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত ) মহিদুল ইসলাম জানান, জহিরুল দীর্ঘদিন ধরে ভারতে পালিয়ে ছিলেন। তার লাশ সোমবার ভোরে ভারত থেকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী গ্রামে তার বাড়িতে আনা হয়। ভারত সীমান্ত সংলগ্ন ওই গ্রামের মৃত আইজুদ্দিন মোল্যার ছেলে জহিরুলের বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সাতক্ষীরায় হত্যা, ধর্ষণ, আটকে রেখে নির্যাতনের মত যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে জহিরুল ইসলাম ওরফে টিক্কা খানের বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগে জহিরুলসহ চার জনকে অভিযুক্ত করে গতবছর ৫ মার্চ বিচার শুরুর আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলাটি বর্তমানে যুক্তিতর্ক শুনানি পর্যায়ে রয়েছে।
এ মামলার আসামিদের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল খালেক মণ্ডল ও আব্দুলাহিল বাকী গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। অপর আসামি খান রোকোনুজ্জামান এখনও পলাতক।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, একাত্তরে সাতক্ষীরা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র জহিরুল জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন এবং পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগিতায় বিভিন্ন মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশ নেন।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহŸায়ক আশেক ই এলাহী বলেন, জহিরুল সে সময় নৃশংসতার জন্য এতটাই কুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন যে স্থানীয়দের কাছে তিনি ‘টিক্কা খান’ নামে পরিচিত পান।