সশস্ত্র গোষ্ঠীকে মদদ দিচ্ছে রাষ্ট্রযন্ত্র : সন্তু লারমা
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
পার্বত্য শান্তি চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অবাস্তবায়িত রেখে সরকার ‘সশস্ত্র গোষ্ঠীকে মদদ দিচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেছেন পাবর্ত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২২ বছর পূর্তি উপলক্ষে রবিবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে হোটেল সুন্দরবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, রাঙামাটি ও বান্দরবানে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃত্ব রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রত্যক্ষ মদদ ও যোগসাজশে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস ও দলচ্যুত আরাকান লিবারেশন পার্টি নামক বিদেশি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে পার্বত্য চুক্তির বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে।
গত ১৬-১৭ অক্টোবর রাঙামাটিতে স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, হানাহানি, চাঁদাবাজি ও অস্ত্রবাজির ‘একতরফা অভিযোগ’ আনা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন সন্তু লারমা।
আজ পার্বত্য অঞ্চলের পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক। জুম্ম জনগণ অকল্পনীয় দমন-পীড়ন, নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চিৎ ভবিষ্যতের মধ্যে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। যে রাজনৈতিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার একটা সুষ্ঠু রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল, সেই রাজনৈতিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে সরকার একটা সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ দল হিসেবে চিহ্নিত করে পার্বত্য চুক্তিকে নস্যাৎ করে দিতে বদ্ধপরিকর।
তার অভিযোগ, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বিষয়গুলো শাসকগোষ্ঠী ‘অত্যন্ত সচেতনতা ও সুচতুরতার সঙ্গে আড়াল করে রেখেছে’। পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। দীর্ঘ ২২ বছর অপেক্ষা করেও পার্বত্যবাসীর আশা-আকাক্সক্ষা পূরণ করে দেওয়া হল না। সেটি আজ সুদূর পরাহত, বলেন জনসংহতি সমিতির সভাপতি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা সমাধানের নামে যেকোনো চক্রান্ত দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ‘কখনও শুভ ফল বয়ে আনতে পারে না’ বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং।