April 26, 2024
আন্তর্জাতিক

‘সরকারি চাকরিজীবী’ পাত্র না পেয়ে তরুণীর আত্মহত্যা

সরকারি চাকরিজীবী পাত্র না পেয়ে কলকাতার মুর্শিদাবাদের কান্দিতে শিল্পী ঘোষ নামে এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন। জানা গেছে, পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরেই তার জন্য পাত্রের খোঁজ চলছিল। বিয়ের জন্য তার একটিই শর্ত ছিল পাত্রকে সরকারি চাকরিজীবী হতে হবে।

তবে শর্তপূরণ না হওয়ায় কোনো পাত্রকেই পছন্দ হচ্ছিল না ছাব্বিশ বছর বয়সী ওই তরুণীর। বৃহস্পতিবার সকালে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করেন বলে তার পরিবারের দাবি। আত্মঘাতী হওয়ার কথা শুনে প্রতিবেশীদের দাবি, সরকারি চাকরিজীবী পাত্র না পাওয়ায় মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন শিল্পী ঘোষ।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কান্দির খড়গ্রামের গুরুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা শিল্পী ঘোষের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তার পরিবারের সদস্যরা। তারাই খড়গ্রাম থানায় খবর দেন। এরপর পুলিশ কর্মকর্তরা শিল্পীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শিল্পীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

কান্দি মহকুমা হাসপাতাল মর্গে শিল্পীর মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শিল্পী আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছে তার পরিবার। এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে খড়গ্রাম থানা।

এদিকে বড় ভাইয়ের একমাত্র মেয়ের মৃত্যুতে হতবাক শিল্পীর চাচা সঞ্জীব মণ্ডল। তিনি বলেন, স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করার পর থেকেই শিল্পীর জন্য পাত্রের খোঁজ করছিলেন তার ভাই। তবে জায়গা-জমি, টাকাপয়সা রয়েছে এমন পাত্রদের দেখা হলেও সরকারি চাকুরিজীবী পাত্র ছাড়া বিয়েতে রাজি হয়নি শিল্পী।

এই ঘটনায় শোকাহত শিল্পীর গ্রামের বাসিন্দা চন্দন ঘোষও। তার দাবি কোনো প্রেমঘটিত সম্পর্ক ছিল না শিল্পীর। তিনি বলেন, শিল্পী আমার বোনের মতো ছিল। গ্রামের সকলে ওকে একডাকে ভালো মেয়ে বলে চেনে। ওর বিরুদ্ধে গ্রামের কারো কোনো অনুযোগ পর্যন্ত নেই। অনেক দিন ধরে পর পর বিয়ের জন্য দেখাশোনা চললেও সরকারি পাত্র ছাড়া বিয়ে করতে রাজি হয়নি শিল্পী। হয়তো সে জন্য ওর মানসিক চাপ বাড়ছিল।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *