May 8, 2024
আন্তর্জাতিক

সমুদ্র নিরাপত্তা ও ইরান বিষয়ে সৌদি যুবরাজের সঙ্গে পম্পেও’র আলোচনা

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বুধবার টেলিফোনে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের সঙ্গে সমুদ্র নিরাপত্তা, ইরান ও ইয়েমেন বিষয়ে আলোচনা করেছেন। খবর এএফপি’র।
এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নারী মুখপাত্র মর্গান ওর্তেগাস বলেন, ‘মন্ত্রী এ অঞ্চলের চরম উত্তেজনা এবং নৌযান চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সমুদ্র নিরাপত্তা জোরদার করা নিয়ে আলোচনা করেন।’
ইরান এক মাসের কম সময়ের মধ্যে কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপসাগরীয় জলসীমা থেকে তিনটি ট্যাঙ্কার আটক করেছে। এ অঞ্চলে অবস্থান করা কয়েকটি জাহাজে হামলা চালানোয় যুক্তরাষ্ট্র তেহরানকে দায়ী করে।
যুক্তরাষ্ট্র উপসাগরীয় জলসীমা হয়ে মালবাহী জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি আন্তর্জাতিক জোট গঠনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ওর্তেগাস আরো জানান, যুক্তরাষ্ট্রের এ শীর্ষ কূটনীতিক ও সৌদি যুবরাজ ইরান সরকারের অস্থিতিশীলতামূলক কর্মকান্ড মোকাবেলাসহ আঞ্চলিক উন্নয়ন ও দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সাথে করা পরমাণু চুক্তি থেকে গত বছর বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে নতুন করে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকেই ওয়াশিংটন ও সৌদি আরবের চির শত্রু তেহরানের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে যাওয়ার এক বছর পর ইরান পরমাণু চুক্তির শর্ত অনুযায়ী তাদের কিছু প্রতিশ্রুতি পালন থেকে তারাও সরে দাঁড়ায়।
এছাড়া ইরান গত জুনে আমেরিকার একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করে। এর প্রতিশোধ নিতে ট্রাম্প ইরানে বিমান হামলার চূড়ান্ত নির্দেশ দিলেও একেবারে শেষ মূহুর্তে এসে অনেক প্রাণহানির কথা বিবেচনা করে তা বাতিল করেন।
ওর্তেগাস বলেন, ইয়েমেন বিষয়ে ‘মন্ত্রী ও যুবরাজ দেশটির শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে জাতিসংঘের বিশেষ দূত মার্টিন গ্রিফিথের প্রচেষ্টার প্রতি তাদের জোরালো সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।’
দাতা সংস্থা জানায়, সৌদি আরব ইয়েমেনে ইরান মদদপুষ্ট হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। দেশটিতে এ যুদ্ধে হাজার হাজার লোক নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ বেসামরিক নাগরিক।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *