সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের জন্য আলাদা ওয়াশ ব্লক
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের জন্য আলাদা ওয়াশ বøক (স্যানিটেশন ব্যবস্থা) নিশ্চিত করবে সরকার। ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও ২০২৬ সালের মধ্যে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় এই স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি-৪) অর্জনে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘নতুন ভবন যেগুলো করা হচ্ছে, সেগুলোর প্রতিটিতেই ছাত্রীদের জন্য আলাদা ওয়াশ বøক করা হচ্ছে। আর পুরাতন ভবনগুলোর মধ্যে যেগুলোতে ওয়াশ বøক করা সম্ভব সেগুলোতেও করা হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ওয়াশ বøক করার কাজ সম্পন্ন হতে সময় লাগবে ৫ থেকে ৭ বছর।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওতায় দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ওয়াশ বøক করা হচ্ছে। ২০২৩ সালের মধ্যে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়াশ বøক করা সম্পন্ন হবে।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষায় যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা ২০৩০ সালের আগেই মোকাবিলা করতে হবে। এসডিজি অর্জন করতে হলে এর বিকল্প নেই। তাই অন্তর্ভুক্তি, গুণগত ও বৈষম্যহীন শিক্ষা অর্জনে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য না থাকলে মানসম্পন্ন শিক্ষা অর্জন সম্ভব হবে না। তাই নারীদের জন্যও আলাদা স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উন্নয়নশীল দেশগুলো শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে কর্মপন্থা ঠিক করেছে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল ৯টি দেশ। একইসঙ্গে গ্রহণ করা হয় আট দফা প্রতিশ্রæতি সংবলিত ‘ঢাকা ঘোষণা’। ২০১৭ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি ৯ জাতির ফোরাম ‘ই-নাইন’-এ শিক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ই-নাইনের দেশগুলো হলো চীন, ভারত, ব্রাজিল, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ।