সকাল ৯টায় অফিসে ঢুকে ৪০ মিনিট দপ্তরে থাকা বাধ্যতামূলক
সেবাগ্রহণকারীদের সুবিধা ও কাজে গতি বাড়াতে মাঠ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সকাল ৯টা থেকে নয়টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত অবশ্যই অফিসে থাকতে হবে। এসময়ে নিজ দপ্তরে অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
রোববার (১৪ মার্চ) এ সংক্রান্ত আগের পরিপত্রের কথা মনে করিয়ে দিয়ে সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এতে বলা হয়েছে, জরুরি পরিস্থিতি ছাড়া ৯টা থেকে নয়টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত অফিসকক্ষে অবস্থানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মাঠ পর্যায়ের দপ্তরগুলোর কার্যক্রম নিয়মিত তদারকি করা হয়। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অনেক কর্মকর্তাকে সম্প্রতি অফিসকক্ষে পাওয়া যাচ্ছে না
ফলে জনসাধারণ ও অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় সংযোগ সংস্থাপন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এতে সাধারণ নাগরিকরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি সরকারি কাজের গতিও শ্লথ হচ্ছে।
জনস্বার্থে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সকাল ৯টায় অফিসে এসে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে নয়টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত অফিসে অবস্থান করে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুরোধ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পাশাপাশি ২০১৯ সালের ২৭ আগাস্ট জারি করা এ সংক্রান্ত পরিপত্রের কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আগের পরিপত্রে বলা ছিল, অফিসে আসার সময় পথিমধ্যে দাপ্তরিক বা ব্যক্তিগত বিভিন্ন কাজের অযুহাত দেখিয়ে কতিপয় কর্মকর্তা বা কর্মচারী সঠিক সময়ে অফিসে উপস্থিত হন না মর্মে সম্প্রতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে জনসাধারণ ও অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় সংযোগ স্থাপন দুঃসাধ্য বা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এতে সাধারণ নাগরিক যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হন, তেমনি সরকারি কাজের গতিও শ্লথ হয়।
মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ মর্মে অনুশাসন দেওয়া যাচ্ছে যে, তারা সকাল ৯টা থেকে নয়টা ৪০ মিনিট সময় পর্যন্ত আবশ্যকীয়ভাবে নিজ অফিস কক্ষে অবস্থান করে কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। দাপ্তরিক কর্মসূচি প্রণয়নকালে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন তাদের সকাল ৯টা থেকে নয়টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত অফিসে অবস্থান ব্যাহত না হয়।
পরিপত্রে বলা হয়, অফিস সময়ে কক্ষে বা দপ্তরে অবস্থান করে মাঠ পর্যায়ের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে এ বাধ্যবাধকতা প্রযোজ্য হবে। তবে ভিভিআইপি বা ভিআইপিদের প্রটোকল দেওয়া, আকস্মিকভাবে সংঘটিত কোনো বড় রকমের দুর্ঘটনা মোকাবিলা, গুরুত্বপূর্ণ সভায় যোগদান এবং অনুমোদিত ভ্রমণসূচির মাধ্যমে সফরে যেতে এ বাধ্যবাধকতা প্রযোজ্য হবে না।