April 25, 2024
আঞ্চলিকবিজ্ঞপ্তিলেটেস্টশিক্ষাশীর্ষ সংবাদ

তাপ ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু আলু জাতের উপযোগিতায় যাচাইয়ে খুবিতে মাঠ দিবস

খবর বিজ্ঞপ্তি
তাপ ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু আলু জাতের উপযোগিতা যাচাইয়ে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্ম প্লাজম সেন্টারে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) উদ্ভাবিত এই জাতের আলু চাষের মূল উদ্দেশ্য খুলনা উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা প্রভাবিত এলাকায় আমন ধান কর্তনের পর নাবি জাতের এই আলু চাষের সম্ভাবনা বৃদ্ধি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন এই প্রকল্পের গবেষণা প্লট বাস্তবায়ন করছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ সারওয়ার জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুবির চারুকলা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ মনিরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ জিএমএ গফুর, প্রকল্প পরিচালক ও গোপালগঞ্জস্থ বিএআরআই’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এম এম কামরুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার উপ-পরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনাস্থ বিএআরআই’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও সরেজমিন গবেষণা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোঃ হারুনর রশিদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন খুবির এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী ফারজানা ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিএআরআই উদ্ভাবিত উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকায় তাপ ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু বারি জাতের আলুর নতুন ১৫টি জাতের ৪৫টি গবেষণা প্লট প্রদর্শন করা হয়। এর মধ্যে বারি-৬৩, বারি-৭২, বারি-৭৩ ও বারি-৭৮ এই চারটি জাত অধিকতর তাপ ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু হওয়ায় খুলনা উপকূলীয় অঞ্চলে নাবি জাত হিসেবে চাষের জন্য সুপারিশ করা হয়। এর ফলে এই উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষকরা রোপা আমন ধান কাটার পর ডিসেম্বরে বা জানুয়ারির প্রথমার্ধে চাষ এবং বিনা চাষ এই উভয় পদ্ধতিতেই এ আলু উৎপাদন করতে পারবেন। আবার আগাম জাতের আমন ধান কাটার পর নভেম্বরে এই আলুর চাষ করতে পারলে তা কর্তনের পর বোরো বা অন্য ফসলের চাষও করতে পারবেন। তবে কৃষিবিদ, গবেষক এবং বিজ্ঞানীরা এই অঞ্চলে উৎপাদিত আলু সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের গুরুত্ব বিশেষভাবে তুলে ধরেন। তাহলে কৃষক উৎপাদিত আলু সরংক্ষণ করে পরবর্তীতে বিক্রি করতে পারলে আর্থিকভাবে লাভবান হবে এবং তারা আরও বেশি করে আলু চাষে আগ্রহী হবে। পরে অতিথি ও গবেষকবৃন্দ সরেজমিন আলুর গবেষণা মাঠ পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে খুবির সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গবেষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ, বটিয়াঘাটা থেকে আগত কৃষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *