May 18, 2024
আন্তর্জাতিক

শ্রীলঙ্কার গোয়েন্দা প্রধান বরখাস্ত

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

শ্রীলঙ্কার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান সিসিরা মেন্ডিস বরখাস্ত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা দেশটিতে ইস্টার সানডেতে বিভিন্ন গির্জা ও হেটেলে চালানো ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার গোয়েন্দা ব্যর্থতাকে কেন্দ্র করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মেন্ডিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে সময় আগাম সতর্কতা সত্তে¡ও তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি।

এপ্রিলে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডে উদযাপনকালে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো ও তার আশপাশের তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলসহ আটটি স্থানে বিস্ফোরক দিয়ে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় প্রাণ হারায় তিন শতাধিক মানুষ। শ্রীলঙ্কার কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে সে সময় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এপ্রিলের শুরুতে আগাম সতর্কতা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, শ্রীলঙ্কায় হামলা হতে পারে। ১১ এপ্রিল শ্রীলঙ্কার পুলিশ প্রধান পুজুথ জয়াসুনদারা দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে এ সংক্রান্ত গোয়েন্দা সতর্কতা পাঠান। তা সত্তে¡ও পরিস্থিতি মোকাবেলায় কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

গত সপ্তাহের অনুসন্ধান শেষে শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রেসিডেন্টকে পর্যন্ত অবহিত করা হয়নি। অন্যদিকে গোয়েন্দা বিভাগ কোনও পদক্ষেপও নেয়নি। এ তথ্য পাওয়ার পর গোয়েন্দা প্রধানকে বরখাস্ত করা হলো। তবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। এদিকে বরখাস্ত গোয়েন্দা প্রধান পুরো ঘটনার দায় প্রেসিডেন্টের ওপর চাপিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

হামলার পরপরই ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব-সতর্কতা সত্তে¡ও শ্রীলঙ্কার সিরিজ বিস্ফোরণের ঘটনায় সে দেশের সরকারের বিভিন্ন অংশের মধ্যকার সমন্বয়হীনতার খবরটি জোরালোভাবে প্রকাশ্যে আসে। মার্কিন স¤প্রচারমাধ্যম সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে হামলা-পূর্ববর্তী সময়ে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার পূর্ব দ্বন্দ্ব আরও স্পষ্ট হওয়ার ইঙ্গিত মেলে। মন্ত্রিপরিষদের একজন সদস্য সে সময় বলেন, প্রধানমন্ত্রী হামলার ব্যাপারে অন্ধকারে ছিলেন। সরকারের আরেক মুখপাত্রের বক্তব্যে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অগ্রাহ্য করার অভিযোগ উঠে আসে। বিশেষজ্ঞরা হামলার নেপথ্য কারণ হিসেবে সরকারের দুই অংশের এই বিভাজনকে দায়ী করেন।

 

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *