April 25, 2024
আঞ্চলিক

শ্যামনগরে নদীভাঙ্গন এলাকায় বেড়ীবাঁধ কেটে নাইন্টি পাইপ বসানো হচ্ছে

তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী

 

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

শ্যামনগর উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট এসও কে মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে দাতিনাখালী ভয়াবহ নদীভাঙ্গন এলাকায় অবৈধভাবে বেড়ীবাঁধ কেটে ১র্২র্  নাইন্টি পাইপ বসাচ্ছে কতিপয় কাঁকড়া হ্যাচারী ব্যবসায়ী। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে শ্যামনগরের সুধী মহল।

সূত্র জানায়, দাতিনাখালী ৫ নং পোল্ডারে নদী ভাঙ্গন দীর্ঘ বছরের। এ ভাঙ্গনকূলে সরকারী বে-সরকারীভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হলেও সবই নদীগর্ভে চলে গেছে। এছাড়া নাইন্টি পাইপ দিয়ে লোনা পানি সরবরাহ করায় নদীভাঙ্গন আরো ভয়াবহের আকার ধারন করে। কারন নদী ভাঙ্গন এলাকায় স্খায়ীভাবে মেরামতের জন্য কোন প্রকল্প গ্রহন করা হয়নি। সম্প্রতি ফণির ভয়াবহ আঘাত থেকে রক্ষা পাওয়ার আগে ও পরে একাধিক টিভি চ্যানেলের লাইভ প্রোগ্রাম করায় বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয়ের উপ ও প্রতিমন্ত্রী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এর পর পরই দাতিনাখালী নদীভাঙ্গন এলাকায় বালি ভর্তি ১৬ শত জিও বস্তার কাজ চলমান রয়েছে। গত রবিবার সকালে সাবেক মেম্বর হায়দার আলীল নির্দ্দেশে ৫/৬ জন শ্রমিক ঐ নদীভাঙ্গন এলাকায় অবৈধভাবে বেড়ীবাঁধ কেটে নাইন্টি পাইপ বসানোর চেষ্টা করছিলো। বিষয়টি সাতক্ষীরা জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশুলী ও শ্যামনগর এসডিও কে বিষয়টি অবহিত করলে তারা লোক পাঠিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান। অথচ সেখানে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।

উল্লেখ্য, উক্ত ভাঙ্গন এলাকা থেকে আনুঃ বিগত ১৫/২০ দিন পূর্বে নাইন্টি পাইপ উঠানোর জন্য সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর নিদ্দেশে সংশ্লিষ্ট এসও শাহনাজ পারভীন কাঁকড়া হ্যাচারী মালিকদের ১০ দিনের সময় বেধে নোটিশ প্রদান করেন। নির্ধারিত সময়ে তারা তাদের পাইপ স্ব স্ব দায়িত্বে উঠিয়ে নেন। অথচ কয়েক দিন যেতে না যেতে হ্যাচারী মালিক জুয়েল ও সেলিম বেড়ীবাঁধ কেটে জিও বস্তা উঠিয়ে নাইন্টি পাইপ বসিয়ে লোনা পানি সরবরাহ অব্যহত রেখেছে। একইভাবে গতকাল সাবেক মেম্বর হায়দার আলী বেড়ীবাঁধ কেটে নাইন্টি পাইপ বসানোয় প্রতিয়মান হয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করার।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *