May 2, 2024
খেলাধুলা

শেষ মুহূর্তের গোলে কোনোমতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো বার্সা

কোচ জাভি হার্নান্দেজ চেয়েছিলেন, অন্তত সেরা চারে থেকেও যেন এ বছরের লা লিগাটা শেষ করতে পারে তার দল বার্সেলোনা। কিন্তু সেরা চারে নয়, লিগ শেষ করবে তারা সম্ভবত রানারআপ হয়েই। আর কিছু ম্যাচ বেশি পেলে হয়তো লিগ শিরোপা জয়ের লড়াইটাও জমিয়ে তুলতে পারতেন তিনি।

জয়ের কক্ষপথে ফিরে আসার পর রোববার রাতেই সম্ভবত একটু কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হলো বার্সাকে। লেভান্তের মাঠে গিয়ে পয়েন্ট হারানোর ঝুঁকিতে পড়ে গিয়েছিল জাভির শিষ্যরা। তবে শেষ মুহূর্তের গোলে ৩-২ ব্যবধানে কোনোমতে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে বার্সেলোনা।

এই জয়ের পর আবারও লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো বার্সা। ৩০ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ৬০। ৩১ ম্যাচ খেলে সমান পয়েন্ট সেভিয়ারও। তবে গোল গড়ে এগিয়ে থাকার কারণে বার্সাই দ্বিতীয় স্থানে, তারওপর একটি ম্যাচ কমও খেলেছে তারা। ৩১ ম্যাচে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।

ম্যাচের প্রথমার্ধে সমানতালে লড়াই করেছে দুই দল। আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে খেললেও দুই দলের কেউই গোলের তালা খুলতে পারেনি। যার ফলে, গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।

তবে দ্বিতীয়ার্ধ পুরোটাই ছিল প্রথমার্ধের বিপরীত। এই অর্ধে মোট ৫টি গোল হলো। ৩-২ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো বার্সা।
দ্বিতীয়ার্ধটা ছিল চরম নাটকীয়তায় পূর্ণ। রেফারি তিনবার পেনাল্টির বাঁশি বাজান লেভান্তের পক্ষে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দুটি পেনাল্টি পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। এরমধ্যে একটিকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় তারা। তবে এরপরের দশ মিনিটে দুই গোল করে চালকের আসনে বসে বার্সা।

এরপর আরও একবার পেনাল্টি আদায় করে নেয় লেভান্তে। সেটিও বার্সার জালে জড়িয়ে দিতে সক্ষম হয় তারা। খেলা চলে আসে ২-২ গোলের সমতায়। তবে একদম শেষ মুহূর্তের (৯০+২ মিনিটে) গোলে দারুণ জয় নিয়ে মাছ ছাড়ে বার্সেলোনা।

লেভান্তের হয়ে গোল করেছেন হোসে লুইস মোরালেস এবং গঞ্জালেজ মেরেলো। বার্সার হয়ে গোল তিনটি করেন পিয়েরে এমেরিক-অবামেয়াং, পেদ্রি এবং লুক ডি ইয়ংয়ের।

শুরু থেকেই বার্সার ওপর চড়াও হয়ে খেলতে শুরু করে লেভান্তে। সুযোগ তৈরি করে বেশ কয়েকবার। ২৬ মিনিটে গোললাইন ক্লিয়ার করে বার্সেলোনাকে রক্ষা করেন গার্সিয়া। বেশ খানিকটা দূর থেকে বল নিয়ে বার্সার দুই-তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে গোলের উদ্দেশ্যে শট নেন মোরালেস, তার নেওয়া শট টের স্টেগানের হাতে লেগে গতি কমে যাওয়ায় গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন গার্সিয়া।

৪৯ মিনিটে ফেরান তোরেসের গতির হেড দক্ষতার সহিত ফিরিয়ে দেন লেভান্তে গোলরক্ষক। তবে ৫২ মিনিটে নিজেদের বক্সে ভুল করে বসেন দানি আলভেস, লেভান্তের হ্যাভিয়ের সনকে ফেলে দেন ব্রাজিলিয়ান এই ডিফেন্ডার। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। এ সময় সফল স্পট কিকে লেভান্তেকে এগিয়ে নেন মোরালেস।

চার মিনিট বাদে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ নষ্ট করে লেভান্তে। আবারও পেনাল্টি আদায় করে নিলেও স্বাগতিকদের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি রোজার। তার নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন টের স্টেগান।

লেভান্তের ভুলের সুযোগ দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে ম্যাচে সমতা টানে বার্সেলোনা। ৫৯ মিনিটে ডেম্বেলের ক্রসে হেডে জাল খুঁজে নেন অবামেয়াং। ৬৩ মিনিটে পেদরির গোলে লিড নেয় বার্সেলোনা। গাবির বাড়ানো পাসে বক্সের ভেতর থেকে নিচু করে নেওয়া শটে দুরের পোস্টে বল জড়ান এই তরুণ ফুটবলার।

৮৩ মিনিটে পেনাল্টি গোলে সমতায় ফেরে লেভান্তে। স্পট কিক নেন মেলেরো। কিন্তু তখনো ছিল নাটকীয়তার বাকি। নব্বই মিনিট শেষে যোগ করা দুই মিনিটে বার্সেলোনা পেয়ে যায় জয়সূচক গোল। ডেভিড আলবার ক্রসে বক্সের ভেতর থেকে হেডে দারুণ গোল করেন ডাচ ফরোয়ার্ড লুক ডি ইয়ং। গোলের পর উল্লাসে মাতে বার্সেলোনার ডাগ আউট।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *